বাংলাহান্ট ডেস্ক : শুরু হয়ে গেছে বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ দুর্গা পুজোর কাউন্টডাউন। দেবী দুর্গা, মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। এই জন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসবে খারাপ শক্তির বিনাশ হয় আর শুভশক্তির বিজয় হয়। ঠিক তেমনই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে দেবী দুর্গাকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যেই পালন করা হয় নবরাত্রি।
আর এই নবরাত্রি উপলক্ষ্যেই ভক্তপ্রাণ মানুষেরা ভিড় জমান ভারতের বিভিন্ন মন্দিরে। তবে, এই প্রসঙ্গে আপনাদের সকলকে জানিয়ে রাখা দরকার, ভারতের বুকে এমন অনেক মন্দির অবস্থিত যেগুলিকে ঘিরে রয়েছে নানান ধরনের রহস্য। এমনকি, বিজ্ঞানীরাও সেই রহস্যের কোন কিনারা করতে পারে নি আজও। সেইরকম একটা মন্দির নিয়েই আমরা আজকের প্রতিবেদনে আলোচনা করব।
আরোও পড়ুন : ফের আরেকটি বন্দে ভারত আসল হাওড়ায়! কোন রুটে চলবে এই ট্রেন? বড়সড় আপডেট দিল রেল
মন্দিরটি উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে শীতলক্ষেতের উঁচু পাহাড়ে জঙ্গলের মাঝে রয়েছে। অত্যন্ত প্রাচীন এই মন্দিরে পূজিত দেবীর নাম স্যহী মাতা। এখানে দেবীর মূর্তি দিনে তিনবার তার রূপ পরিবর্তন করে বলেই জানা গিয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্দিরে সকালে দেবী মা সোনালি রঙে আবির্ভূত হন।
এছাড়াও, মাকে দিনের বেলা কালো রঙে এবং সন্ধ্যায় গাঢ় রঙের রূপেও দেখা যায়। কথিত আছে, আগে এই মন্দিরটি বর্তমান স্থান থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে একটি ঘন জঙ্গলে ছিল। স্বামী বিবেকানন্দও এখানে কয়েকদিন তপস্যা করেছিলেন বলেও একটি পৌরাণিক বিশ্বাস এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে। শোনা যায়, কাতুরি রাজারা এই মন্দিরটি এক রাতে তৈরি করেছিলেন।