বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ থেকে শুরু, বর্তমানে ২৩! এক বছরেরও বেশি সময় থেকে রাজ্যে চলছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। গত বছর জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই থেকে দুর্নীতির রহস্যভেদ করতে কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই (ED-CBI)। পার্থের পর এই মামলায় একে একে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বহু নেতা, বিধায়ক থেকে শুরু করে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকও। এখনও চলছে তদন্ত।
এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতির পাঁচটি মামলার তদন্ত চলছে। যেই তদন্ত করতে প্রয়োজন অনেক দক্ষ অফিসার। কিছুদিন আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) অফিসারের অভাবের কথা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে জানিয়েছিল ইডি। এবার সেই একই সমস্যায় আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও জর্জরিত বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের গতি নিয়ে বহু বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের একাধিক বিচারক। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সব মিলিয়ে দিশেহারা সিবিআই। বর্তমানে শিক্ষক কেলেঙ্কারির পাঁচটি মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তভার রয়েছে এই মামলায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলে সিটের ওপর। সিটে রয়েছেন পাঁচজন সিবিআই অফিসার। পাঁচটি মামলার তদন্তে ৫ অফিসারই নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। ফলে কাজের অত্যাধিক চাপ এবং অতিরিক্ত কোনও অফিসার না থাকায় তদন্ত গতি হারাচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজই হুড়মুড়িয়ে কমবে তাপমাত্রা! কোন কোন জেলায় বাড়বে শীত? জানাল আবহাওয়া দপ্তর
উল্লেখ্য, বর্তমানে এই মুহূর্তে কলকাতার নিজাম প্যালেসের অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চে রয়েছেন মোট ২২ জন অফিসার। কিন্তু ২২ জন থাকলেও বিশেষভাবে গঠিত সিট এর সদস্য ছাড়া অন্য কেউ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে পারবে না। নিয়োগ দুর্নীতির পাঁচটি মামলার তদন্ত চলছে বাংলায়, ওদিকে সিট এর অফিসার সংখ্যাও ৫. এক একজন অফিসারকে একটা গোটা মামলা সামলাতে হচ্ছে। তার উপর ১৪ দিন অন্তর আদালতে হাজিরা, মামলা সংক্রান্ত ডেস্ক এর কাজ, তথ্য সংগ্রহ, প্রয়োজন বিশেষে ব্রাঞ্চের কাজও নিজেকেই করতে হচ্ছে।
আর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হল এই মুহূর্তে নিজামে তৈরি হওয়া ফরেন্সিক ল্যাবে মাত্র ১ কর্মী রয়েছেন। ফলে কোনও সাহায্য ছাড়া একজনের পক্ষে জিজিটাল এভিডেন্স বিশ্লেষণ করাও কঠিন হয়ে পড়ছে। সব মিলিয়ে অফিসার, কর্মীর অভাবে মাথায় হাত পড়েছে সিবিআই এর।