বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak)। কয়লা পাচার মামলায় (Coal Smuggling) নাম জড়িয়েছে তার। পূর্বে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মন্ত্রীকে তলবও করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate)। তবে সমন করলেও প্ৰতিবারই কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন মন্ত্রী। বহুবার সমনে সাড়া না দিলেও এখনও মলয়বাবুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওদিকে আবার দলের অন্দরেই নাকি কানাঘুষো রয়েছে যে মলয় ঘটক প্রকাশ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলেন না।
কেন্দ্রীয় বকেয়ার দাবিতে শুক্রবার থেকে ধর্নায় বসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বারংবার টাকা চেয়েও সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় রেড রোডে অম্বেডকর মূর্তির সামনে শুক্রবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর, সেখানেই দুই বর্ধমান জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি ও ভোট প্রস্তুতি নিয়ে পার্শ্ব বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়েন আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। বৈঠকে আলোচনার মাঝেই হঠাৎ মলয়বাবুর দিকে তাকিয়ে মমতা বলেন, ‘মলয় তুমি তো বিজেপির বিরুদ্ধে কিছুই বলো না!’ কিছুটা হকচকিয়ে যান মলয় ঘটক। মুখ্যমন্ত্রীর কথার উত্তরে কিছু বলতে গেলে তাকে থামিয়ে মমতা বলেন, “আরে ছাড়ো ছাড়ে! আমার সব জানা আছে। কে কোথায় কী বোঝাপড়া করছে।’
ওদিকে মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র, শ্রমিক নেতাও। বৈঠকে দাদার পাশাপাশি ভাই অভিজিতের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তোলা হয় পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও। ওদিকে প্রাক্তন জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পরে। মমতা বলেন তুমি বাইরে কী সামলাবে আগে নিজের ঘর সামলাও।
আরও পড়ুন: ‘জন্মের আগেই অভিষেককে নোটিস দিয়েছে ED’, কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ মমতার
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না মঞ্চের পিছনেই দুটি অস্থায়ী অফিস তৈরি করা হয়েছে। একটি সাংগঠনিক কাজের জন্য। অন্যটি প্রশাসনিক কাজের জন্য। সেখানেই দুই বর্ধমানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল থেকে ফের শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।