‘কাশী-মথুরা পেলে আর কোনওদিকে তাকাব না’, বড় মন্তব্য রাম মন্দির আধিকারিকের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ কয়েক দশকের লড়াইয়ের পর অবশেষে মিটেছে অযোধ্যার (Ayodhya) জমি জট। বাবরি মসজিদের (Babri Masjid) ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে সেই জায়গায় তৈরি হয়েছে বিশাল রাম মন্দির (Ram Mandir)। রামলালা ফিরেছেন তার নিজ গৃহে। সেই বিতর্ক মিটতেই পাখা মেলেছে কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Masjid) বিতর্ক‌। এসবের মাঝেই বড় মন্তব্য করে বসলেন রামমন্দিরের আধিকারিক গোবিন্দ দেব গিরি মহারাজ।

মহারাজ এইদিন বলেন, মুসলিমরা যদি জ্ঞানবাপী এবং মথুরার মসজিদ হিন্দুদের ফিরিয়ে দেয় তাহলে এই বিতর্কের অবসান হতে পারে। এরপর আর অন্য কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হবেনা বলে জানিয়েছেন তিনি। রাম মন্দিরের ট্রোজারের কথায়, ‘অন্য কোনও মন্দিরের দিকেই তাকানোর আমাদের ইচ্ছে নেই। কারণ আমাদের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতিহাসে থাকলে চলবে না। দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়া উচিত। এখন যদি আমরা জ্ঞানবাপী আর কৃষ্ণ জন্মভূমি শান্তিতে পেয়ে যাই, তাহলে আমরা আর বাকি সবকিছুর বিষয়ে ভুলে যাব।’ তিনি মনে করেন, অযোধ্যা, জ্ঞানবাপী এবং মথুরার মন্দির ধ্বংস ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়। এবং এটি হিন্দুদের জন্য সবচেয়ে বড় কষ্টের জায়গা বলে মনে করেন তিনি।

আরও পড়ুন : তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে দেব? ইস্তফা নিয়ে বড় মন্তব্য টলিউড অভিনেতার

মহারাজ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে করজোড়ে অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘আমি এই তিন মন্দিরের বিষয়ে হাতজোড় করে আবেদন জানাচ্ছি। এগুলির জন্য ভারতীয়রা আজও কষ্ট পায়। যদি মুসলিমরা শান্তিতে এই ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে তাহতে আমাদের ভাতৃত্ববোধ আরও দৃঢ় হবে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই জ্ঞানবাপীর বেসমেন্টের একটি নির্দিষ্ট অংশে পুজো পাঠের অনুমতি দিয়েছে বারাণসী আদালত।

আরও পড়ুন : চিনের ভয় আর ভারতের শক্তি! মাথা নত আমেরিকারও, এবার কী করবে পাকিস্তান?

মুসলিম পক্ষ এই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে মামলা করে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে মামলা পাঠানো হয় এলাহবাদ হাই কোর্টে। হাই কোর্টের তরফে পুজো পাঠে আপত্তি জানানো হয়নি। এইদিন হিন্দুপক্ষের অ্যাডভোকেট বিষ্ণু শংকর জৈন বলেন, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া তার রিপোর্টে প্রমাণ করে দিয়েছে যে, হিন্দু মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছে জ্ঞানবাপী। হিন্দুদের সেই সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছেন তিনি।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর