গোপনে BJP-র সঙ্গে মাখামাখি? ফুঁসে উঠলেন মমতা, দলের কোন কোন নেতাদের সতর্ক করলেন?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মালদহের দুই আসনে জোড়াফুল ফোটাতেই হবে! রবিবার বিকেলে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে কার্যত এই বার্তাই দিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গেই স্পষ্ট জানালেন, বিজেপির সঙ্গে দলের কেউ কেউ যোগাযোগ রাখছেন। অনেক আবার সামাজিক মাধ্যমে কথা বলছেন। দলের কাছে সব খবর আছে বলে ‘হুঁশিয়ারি’ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

গতকাল ওল্ড মালদহের (Maldah) নারায়ণপুরের একটি রিসর্ট থেকে ইংলিশবাজারের বৃন্দাবনী ময়দান সংলগ্ন টাউন হলে পৌঁছন মমতা। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সেখানেই বৈঠক করেন তিনি। জানা যাচ্ছে, এই সভায় জেলা নেতৃত্ব, উত্তর ও দক্ষিণ মালদহের দুই তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী, দলের নির্বাচনী কমিটির সদস্য সহ মোট ১২২ জন কার্যকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল ৫:৩০ নাগাদ টাউন হলের সভায় পৌঁছন তৃণমূল নেত্রী।

মালদহের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে এই বৈঠকে মমতা প্রায় ১০ মিনিট বক্তব্য রাখেন বলে খবর। শ্রোতার আসনে ছিলেন মালদহ উত্তর এবং দক্ষিণের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাহনওয়াজ আলি রায়হান। রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর, চাঁচোলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি, পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী প্রমুখ। জানা যাচ্ছে, গতকালের সভায় পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে রীতিমতো সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুনঃ ‘জাস্টিস দেবাংশু বসাক…’, SSC মামলার রায়দান নিয়ে কী বললেন প্রাক্তন জাস্টিস অভিজিৎ গাঙ্গুলি?

আসলে কয়েকদিন আগে বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে প্রণাম করেন। পুরসভার চেয়ারম্যানও তাঁকে পাল্টা আশীর্বাদ করেন। এই বিষয়টি চোখে পড়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। এই নিয়েই কৃষ্ণেন্দুনারায়ণকে তিনি সতর্ক করেছেন বলে খবর। একই সঙ্গে মমতা বলেন, দলের অনেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে কথাও বলছেন। দলের কাছে সব খবর আছেন বলে জানান তৃণমূল নেত্রী। সেই সকল দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি কড়া বার্তা দেন বলে খবর।

Trinamool Congress TMC Mamata Banerjee

গতকালের সভা থেকে মমতা স্পষ্ট জানিয়েছেন, মালদহের দুই আসনই তৃণমূল চায়। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই সকলকে কাজ করার বার্তা দেন তিনি। পাশাপাশি জেলার দলীয় নেতৃত্বকে তিনি এও বলেন, দলের নীচুতলার কোনও নেতা-নেত্রী কিংবা কর্মীরা যাতে বিজেপির কোনও প্রকার প্রতারণায় পা না দেয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। স্থানীয় বিধায়কদের নিজ নিজ এলাকায় ঠিক মতো কাজ করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি রতুয়ার প্রবীণ বিধায়ক যাতে এই তীব্র রোদে বেশি ঘোরাঘুরি না করেন সেটা দেখতে বলেন মন্ত্রী সাবিনাকে।

ad

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর