বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার গোটা বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে মাতৃ দিবস। মাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই দিনটি উদযাপনের চল মূলত পশ্চিমী দেশগুলিতে আগে দেখা যেত, তবে বর্তমানে ভারতেও অনেকে ‘মাদার্স ডে’ (Mother’s Day) পালন করেন। মাতৃদিবসের দিনই আবার বাংলার বুকে চারটি জনসভা করার কথা আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)। রবিবার সকালে ভাটপাড়ায় সভা করার পর চুঁচুড়ায় আসেন তিনি। সেই সভায় মায়ের সঙ্গে নিজের দু’টি ছবি দেখে খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পিএম।
শনিবার রাতেই রাজ্যে এসেছেন মোদী। আজ সকালে প্রথমে ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে ভাটপাড়ায় সভা করেন তিনি। এরপর চলে আসেন চুঁচুড়া (Chinsurah)। এখানে পদ্ম প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে একটি জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই জনসভাতেই প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর মায়ের হাতে আঁকা দু’টি ছবি হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুই যুবক। বিষয়টি চোখে পড়ে মোদীর। ছবি দু’টি চাওয়ার পাশাপাশি মাতৃ দিবস নিয়েও কয়েকটি কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে দুই কোণায় দুই সজ্জন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরা ছবি এঁকে নিয়ে এসেছেন। অনেকক্ষণ ধরে দেখছি ওনারা হাত উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনাদের হাতে যন্ত্রণা হবে। তবে আপনারা এত ভালোবেসে নিয়ে এসেছেন, আর তাও আবার আমার মায়ের ছবি এঁকে নিয়ে এসেছেন’।
আরও পড়ুনঃ বাংলাকে ৫ ‘স্পেশ্যাল গ্যারান্টি’ মোদীর! ভোটের মধ্যেই চাপে ‘দিদি’? কী কী প্রতিশ্রুতি দিলেন?
মোদী বলেন, ‘পশ্চিমী দুনিয়ায় আজ মাতৃ দিবস উদযাপিত হচ্ছে। কিন্তু আমরা ভারতবাসীরা ৩৬৫ দিন মা, দুর্গা মা, কালী মা এবং ভারত মায়ের পুজো করি’। প্রধানমন্ত্রী এরপর ওই হাতে আঁকা দু’টি ছবি চেয়ে নেন। সেই সঙ্গেই ওই দু’টি ছবি নিয়ে আসা যুবককে বলেন, ছবির পিছনে তাঁদের নাম, ঠিকানা লিখে দিতে। তিনি বলেন, আপনারা দু’জন আমার মায়ের ছবি বানিয়ে নিয়ে এসেছেন। আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ। আমি আপনাদের চিঠি পাঠানোর চেষ্টা করব।
এদিন চুঁচুড়ার জনসভায় দাঁড়িয়ে ফের একবার সন্দেশখালি এবং দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গোটা দেশ দেখছে। সন্দেশখালি বাঁচার জন্য তৃণমূল নানান ধরণের প্রচেষ্টা করছে। তবে আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, তৃণমূলের কোনও অত্যাচারী বাঁচতে পারবে না। বাংলার যুব সমাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তৃণমূল। বাংলার যুবদের পেপার বিক্রি করেছে। তৃণমূলের পেপার লিক, ভর্তি মাফিয়ারা সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ দেখুন, ওঁদের বড় বড় নেতা, মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর খাস লোকেরা জেলবন্দি। ওঁদের নেতাদের ঘর থেকে কত টাকা উদ্ধার হয়েছে তা দেখে সম্পূর্ণ দেশ চমকে গিয়েছে। এই বিশ্বাসঘাতকতার জবাব আপনাদের দিতে হবে’।