বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এরই মাঝে এবার চাপ বাড়ল প্রধান শিক্ষকদের। এককথায় বিভ্রান্তিতে বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা। একেই চলছে গরমের ছুটি। তার উপর ভোটের কারণে বহু জায়গায় স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর শিবির হয়েছে। তাই সেখানে গিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে রাজ্যের নির্দেশ পালন করা হবে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, বাংলার সব শিক্ষককে (Teachers) নথি দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় দেওয়া নির্দেশের ভিত্তিতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দফতর। যা জানা যাচ্ছে তাতে সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষককে নথি জমা দিতে হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য।
জানা গিয়েছে, ২৭ মে পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় হার্ড কপি জমা দিতে তাদের। জানিয়ে রাখি, শিক্ষকদের স্কুল সার্ভিস কমিশনের শংসাপত্র, নিয়োগ পত্র, বর্তমান চাকরির প্রমাণ পত্র এই সমস্ত কিছু জমা দিতে হবে। কমিশন তরফে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক না হলে দিতে হবে অ্যাপ্রুভাল মেমো।
এরপর প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে ডিআই-দের কাছে প্রমাণের হার্ড কপি চলে যাবে। সমস্ত তথ্য কাগজ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করবেন ডিআই-রা। আগামী ৭ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে হঠাৎ কেন সমস্ত শিক্ষকদের এমন নির্দেশিকা দেওয়া হল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ বাতিল হল গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা! DA আবহেই চরম বিপাকে সরকারি কর্মচারীরা
তবে যাদের চাকরি প্রায় অবসরের পথে এই সময়ে এসে রাজ্যের এই নির্দেশিকা হাতে পাওয়ায় হতাশ শিক্ষক -শিক্ষকাদের একাংশের। এদিকে এত দ্রুত এই নির্দেশ পালন কী আদেও করা সম্ভব? সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। শিক্ষক সংগঠন নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন এবং পশ্চিমবঙ্গের প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্রের দাবি, ভোটের জন্য কাজ চলছে তাই বহু স্কুলই এখন প্রধান শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে নেই। পাশাপাশি বহু শিক্ষক গরমের ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছেন। এই অবস্থায় রাজ্যের নির্দেশে বিভ্রান্ত তারা। তা ছাড়া, বহু বছর আগে যে সব শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিতে যোগ দিয়েছেন তাঁদের নথিও পেতে আরও সমস্যা হতে পারে বলেও মত তাদের।