বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিনেমা, টেলিভিশনের পর এবার সংসদের পথে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করে হুগলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। রাজনীতির ময়দানে নেমেই জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি। স্ত্রীয়ের এই সাফল্যে ভীষণ গর্বিত প্রবাল বসু (Probal Basu)। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, ‘কী যে ভালো লাগছে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না’।
রচনা যে জয়ী হবেন তা আগেই খানিকটা আঁচ করেছিলেন প্রবাল। রেজাল্টের দিন সকাল থেকে স্ত্রীয়ের পাশেই ছিলেন। গতকাল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলাশাসকের অফিসে রয়েছেন, পাশেই আছেন রচনা। প্রবাল বলেন, ‘আসলে ও এই রকমই। যা ছোঁয়, সেটাই সোনা হয়ে যায়। ও যেখানেই হাত দিয়েছে, সেখানেই সাফল্য এনেছে’।
প্রবালের সংযোজন, ‘গর্বে বুক ফুলে যাচ্ছে। বলতেই পারি, আমি একজন গর্বিত স্বামী’। একসঙ্গে থাকেন না রচনা-প্রবাল। তবে বিবাহবিচ্ছেদও হয়নি তাঁদের। হুগলির (Hooghly) নবনির্বাচিত সাংসদ নিজেই একসময় বলেছিলেন, ‘ভালো স্ত্রী’ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। তবে দূরে থাকলেও রচনা-প্রবালের সম্পর্কে যে কোনও প্রকার তিক্ততা নেই তা ফের একবার পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা নরেন্দ্র মোদীর! নতুন পিএম কবে শপথ নেবেন?
স্ত্রীয়ের থেকে দূরে থাকলেও আজও তাঁর সাফল্যে বুক ভরে যায় প্রবালের। রচনা প্রার্থী হওয়ার পর তাঁর ছবি লাগানো টি-শার্ট পরে দেখা গিয়েছিল প্রবালকে। সেই সময়ও স্ত্রীয়ের পাশে ছিলেন তিনি। সাংসদ হওয়ার পরেও স্বামীকে পাশে পেলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছিলেন রচনা। হুগলি কেন্দ্রে পুনরায় ঘাসফুল ফোটানোর এই লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না। বিপক্ষে ছিলেন গতবারের জয়ী সাংসদ, BJP-র দাপুটে নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে গত দু’মাস নিজের কেন্দ্রের মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন তিনি। চুঁচুড়া টু সিঙ্গুর, সবটা চষে বেরিয়েছেন রচনা। বহুবার ট্রোলও হতে হয়েছে তাঁকে। সবটা হাসিমুখে সামাল দিয়েছিলেন। শেষ অবধি জয়ের ‘লকেট’টাও পরলেন তিনিই।