বড়সড় কিছু প্ল্যান? এবার ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া BJP কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে শুভেন্দু

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবন (Raj Bhavan) চত্বরের  উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা (BJP Leader) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari )। কিন্তু রাজভবন চত্বরের বাইরে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয় তাঁদের। আসলে রাজভবন চত্বরের বাইরে সব সময়ই ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তাই এদিন ঘরছাড়া কর্মীদের নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজভবনে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেওয়া হয় তাঁদের।

বিজেপির জমায়েত ঘিরে বিশৃঙ্খলার কথা আঁচ করতে পেরে আগে থেকেই রাজভবন চত্বরের বাইরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলায় গড়ে তুলেছিল পুলিশ। রাজভবনের তিনটি গেট-ই অবরুদ্ধ করে তৈরি করা হয়েছিল ব্যারিকেড। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। সেই মতো তিনি রাজভবনের উদ্দেশ্যের রওনা দিলেও পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে অনেক দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রাজভবনের বাইরে।

এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সাথেই ছিলেন ক্যানিং, যাদবপুর,ভাঙড়, উলুবেড়িয়া, কুলতলী, হাওড়া,পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪পরগনার প্রায় ২০০ জন ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত কর্মী সমর্থক। কিন্তু রাজভবন চত্বরের বাইরে সব সময় ১৪৪ ধারা বজায় থাকায় ভিতর প্রবেশ করতে পারেননি তাঁরা।  এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ‘আমি পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করিনি।’

তবে তাঁর সাথে নাকি এদিন রাজ্যপালের কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন এই বিরোধী দলনেতার তরফে রাজ্যপালের দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের জানানো হয় রাজভবনের বাইরের চত্বর কলকাতা পুলিশের অধীনে।  তাই এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। তবে এদিন রাজভবনে ঢুকতে না পেরে ক্ষোভ উগরে  দিয়ে  শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নির্দেশে এ রকম করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালীর কোম্পানিতে ঢুকেছে প্রাথমিক দুর্নীতির ৩০ কোটি! হাইকোর্টে হাটে হাড়ি ভাঙল CBI যার ফলে আক্রান্তরা স্মারকলিপি ও দিতে

পারছেন না। ভোট পরবর্তী হিংসার আক্রান্তদের বিষয়ে বারবার সরবা হয়েছে বিজেপি। তাই ঘরছাড়া ওই সমস্ত মানুষদের জন্য ইতিমধ্যেই উত্তর কলকাতায়  বিজেপির উদ্যোগে ভাড়া নেওয়া হয়েছে ধর্মশালা। তবে এদিন রাজভবনে ঢুকতে না পারলেও এই নিয়ে শুক্রবার হাইকোর্টের দারস্থ হবেনবিজেপি নেতা। শুধু তাই নয় শুভেন্দু অধিকারীর দাবি রাজভবন নাকি এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র সচিব-এর রিপোর্ট তলব করেছে। 

Rajbhavan

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন ,’বাংলায় বিজেপির প্রকৃত ঘরছাড়া তো দিলীপ ঘোষ। তাঁকে নিয়ে গেলেন না কেন! আর কার কাছে যাচ্ছে? রাজ্যপাল! যার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ উঠেছিল, সেটা তো বাংলার মানুষ ভুলে যায়নি।” একই সঙ্গে কুণাল আরও বলেন, “বাংলায় ভরাডুবির পর নজর ঘোরাতেই কিছু লোককে খাইয়ে দাইয়ে রেখে ঘরছাড়ার নাটক করছেন।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর