বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সমাজমাধ্যমের দৌলতে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিলেন নন্দিনী গঙ্গোপাধ্যায়। নেটদুনিয়ায় অবশ্য তাঁর পরিচিতি নন্দিনী দিদি (Nandini Didi) নামেই বেশি। ডালহৌসির অফিস পাড়ায় পাইস হোটেল চালানো এই যুবতী সামনে ইতিমধ্যেই খুলে গিয়েছে টলিউডের দরজা। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। এর মাঝে আচমকা বিপত্তি!
বন্ধ হয়ে গেল নন্দিনীর (Nandini Didi) পাইস হোটেল!
ডালহৌসিতে নন্দিনীর পাইস হোটেলের (Pice Hotel) সামনে প্রায় সর্বক্ষণ ভিড় লেগে থাকতো। ক্যামেরা হাতে প্রায়ই পৌঁছে যেতেন নানান ভ্লগার। তবে এবার সেই দোকান বন্ধ হয়ে গেল। এক ভিডিওয় নন্দিনী নিজে একথা জানান । এর আগেই অবশ্য তিনি এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, অফিস পাড়ার এই দোকান হয়তো তাঁকে ছাড়তে হতে পারে। কারণ সেটি তাঁদের নিজেদের নয়, বরং ভাড়া নেওয়া।
এবার নন্দিনীর এই ভয়টাই সত্যি হল। সম্প্রতি তিনি জানান, ডালহৌসির ওই দোকান (Dalhousie) থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। পাইস হোটেল চালানোর এই যুবতী বলেন, ‘বলতে পারো জোর করা হয়েছে। এখানে আমার বলার কিছু নেই। লকডাউনের আগে বাবা ভাড়া নিয়েছিল। নিজের জিনিসে প্রভাব খাটানো যায়, অন্যেরটায় যায় না’।
আরও পড়ুনঃ কোটি টাকার মালকিন রচনা, কী কাজ করেন অভিনেত্রীর স্বামী প্রবাল? শুনলে বিশ্বাস হবে না!
দোকান থেকে উচ্ছেদ করা হলেও নন্দিনী (Nandini Didi) কিন্তু বেকার হয়ে যাননি। কারণ মাসখানেক আগেই নিউ টাউন চত্বরে ‘নন্দিনীদির হেঁশেল’ খুলেছিলেন তিনি। এবার থেকে যারা তাঁর হাতের খাবার খেতে চান, তাঁদের চলে যেতে হবে নিউ টাউন। ওই ভিডিওয় নন্দিনী বলেন, ওই দোকানে মাথার ওপর ছাদ ছিল না। মা-বাবাকে আর কতদিন রাখতাম? একইসঙ্গে জানান, ব্যবসার নিরিখে এখানে আরও বেশি রোজগার হচ্ছে তাঁর।
যদিও নিন্দুকরা বলছেন, নিউ টাউনে ‘নন্দিনীদির হেঁশেল’এ আগের মতো ভিড় চোখে পড়ে না। অনেকেই নন্দিনীর বিরুদ্ধে মাত্রাতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগও করেছেন। একজন যেমন কমেন্ট করেছেন, ‘এখন নিউ টাউনে দোকান, তাও চলে না। কারণ প্রচুর দাম নেই। অথচ আশেপাশের সব দোকান রমরমিয়ে চলে। যখন ডালহৌসিতে দোকান ছিল, সেই সময় সাধারণ মাছ-ভাতের দাম নিত ৮০ টাকা, যেখানে ওনার পাশের দোকানে নিত ৪৫ টাকা। এটা কি মেনে নেওয়া যায়?’