বাংলাহান্ট ডেস্ক : যত সময় যাচ্ছে ততই অগ্রগতি হচ্ছে বিজ্ঞানের। আর বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে বাড়ছে মানুষের দৈনন্দিন চাপ। ধীরে ধীরে মানব সভ্যতা পরিণত হচ্ছে যান্ত্রিক সভ্যতায়। এই অবস্থায় বিশ্বব্যাপী মানুষের অন্যতম প্রধান সমস্যা ঘুম (Sleep)। অনেকেই নিদ্রাহীনতা বা কম ঘুমের শিকার।
তবে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা যেখানে সেখানে ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে অনেক মানুষ রয়েছেন যারা গাড়িতে চড়লেই সহজেই ঘুমিয়ে যান। বলতে পারবেন কেন গাড়িতে চড়লে ঘুম (Sleep) পায়? বাস, ট্রেন, মেট্রো কিংবা চার চাকার গাড়ি, অনেক সময় দেখা যায় গাড়িতে সফর করার সময় ঘুমে ঢলে পড়ছেন অনেকে।
গাড়িতে কেন ঘুম (Sleep) পায়
তবে এর পিছনে রয়েছে কোন বিজ্ঞান? এই বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত একাধিক গবেষণা হয়েছে। সেই গবেষণায় উঠে এসেছে বিভিন্ন তথ্য। গবেষণায় বলা হয়েছে এই ধরনের আচরণের পিছনে রয়েছে স্লিপ ডেবট, একঘেয়েমি এবং হাইওয়ে হিপনোটিজম ইত্যাদি। লম্বা ভ্রমণের আগে আমরা একাধিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকি।
আরোও পড়ুন : ‘অবিলম্বে দিন..,’ আদালতে বড় জয়! অবশেষে TET নিয়ে বিরাট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
সবকিছু ঠিকঠাক নেওয়া হয়েছে কিনা, যাত্রার সময় কী কী লাগতে পারে, ইত্যাদি অনেক হিসাব নিকাশের খেলা চলতে থাকে আমাদের মস্তিষ্কে। চিন্তায় অনেকের তাই ঘুম (Sleep) হয় না। এবার সহজেই অনুমেয় এর পিছনের বিজ্ঞান। দ্য কনভারসেশনের একটি প্রতিবেদন বলছে, যখন আমরা কোনও কিছু করা থেকে বিরত থাকি তখনই আমাদের ঘুম পায় চলন্ত গাড়িতে।
আরোও পড়ুন : ট্রেনিংয়ের জন্য সরকার খরচ করেছে ২ কোটি টাকা! চমকে দেবে ২২ বছরের মনু ভাকেরের মোট সম্পদের পরিমাণ
বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় হাইওয়ে হিপনোসিস। শুধুমাত্র চালকদের সাথেই ঘটে এই ধরনের ঘটনা। তাই অনেকটা লম্বা যাত্রা পথ যেতে যেতে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। এছাড়াও গাড়িতে যাওয়ার সময় ঘুমিয়ে পড়ার পেছনের অন্যতম একটি কারণ হতে পারে ‘সাদা আওয়াজ’। ইঞ্জিনের আওয়াজ, বাতাসের গর্জন এবং গাড়িতে গান বাজানোর ফলে যে শব্দ তৈরি হয় তাকেই বলা হয় ‘সাদা আওয়াজ’ বা ‘হোয়াইট নয়েজ।’
তবে আওয়াজের ফলে কীভাবে ঘুম আসতে পারে মানুষের? এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ছোটবেলায় একটি বাচ্চাকে ঘুম (Sleep) পাড়ানোর সময় তার বাবা-মা বিভিন্ন ধরনের শব্দ বা গান করেন। সেগুলি শুনে ঘুমিয়ে পড়ে শিশুরা। গাড়িতেও অনেকটা সেরকম ব্যাপার ঘটে। দীর্ঘ যাত্রাপথে ঘুমিয়ে পড়াটা স্বাভাবিক। গাড়িতে সফর করার সময় চকোলেট, ওআরএস খেলে ক্লান্তি ভাব চলে যায়। তার সাথে আসে শক্তি ।
তবে যারা স্বল্প যাত্রাপথেও গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন তাদের সম্ভাবনা থাকে ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া সিন্ড্রোমে’ আক্রান্ত হওয়ার। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি মাঝেমধ্যেই ক্লান্ত ভাব অনুভব করেন। এছাড়াও ঘুমের (Sleep) পিছনের মূল কারণ হল ক্লান্তি। শরীর ক্লান্ত থাকলে সহজেই ঘুম এসে যায়। তাছাড়া অতিরিক্ত শব্দ, দীর্ঘক্ষণ ঝাঁকুনি স্নায়ুকে দুর্বল করে। যার জেরে ঘুম আসাটা স্বাভাবিক।