১০০ দিনের প্রকল্পে বাংলার ঝুলিতে শূন্য! এবার ‘প্রমাণ’ সহ কেন্দ্রকে তুলোধোনা ডেরেকের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে একাধিকবার সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। এবার একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলাকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, এই নিয়ে নতুন করে সরব হলেন জোড়াফুল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien)।

একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বাংলার বরাদ্দ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ?

রবিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন ডেরেক। সেখানে তৃণমূলের (Trinamool Congress) রাজ্যসভার সাংসদ লিখেছেন, ‘অবশেষে সংসদে মোদী সরকার স্বীকার করে নিল, মনরেগা তহবিলের জন্য বাংলাকে শূন্য দেওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ক শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে আসছে। এর ফলে প্রমাণিত ২০২১ বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এখানে সেই বঞ্চনার প্রমাণ রয়েছে’।

   


এই লেখার সঙ্গে একটি রিপোর্টের ছবিও শেয়ার করেছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সাংসদ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিগত ৫টি অর্থবর্ষে দেশের কোন রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কতজন মানুষ ১০০ দিনের কাজ পেয়েছেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৩,৬৫,৬৮৩। পরের আর্থিক বছরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬,৭৮,৬৩৩। এরপরের অর্থবর্ষে তা সেটা ফের কমে হয় ৪,৭১,১৩৬। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে একধাক্কায় তা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১৬১৮। এরপর ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের একজন শ্রমিকও ১০০ দিনের কাজ (100 Days Work) পাননি।

আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর অনুদান নিয়েও দুর্নীতি? তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ … তোলপাড়!

এদিকে মোদী ৩.০ সরকার গঠনের পর লোকসভার প্রথম অধিবেশনেই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল (Trinamool Congress)। সৌগত রায়, দেব, মালা রায় এবং খলিলুর রহমান একসঙ্গে লিখিত প্রশ্ন জমা দেন। একইসঙ্গে কেরলের সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের মুখসচেতক কে সুরেশ-ও এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

Trinamool Congress Derek O'Brien 100 Days Work

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী লিখিত জবাবে জানান, শুধুমাত্র বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ অবধি পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোনও রাজ্যের টাকা আটকে নেই। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়, ২০২২ সালের ৯ মার্চ থেকে টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ না মানাকে তুলে ধরা হয়েছে। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে, ২০০৫ সালের আইনের ২৭ ধারায় এভাবে টাকা আটকে রাখার সংস্থান আছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর