বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজনীতির পাশাপাশি সংস্কৃতির প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল তাঁর। সিনেপ্রেমী বুদ্ধবাবুর স্নেহধন্যা ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। তাঁর অভিনয় বিশেষ পছন্দ ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এবার বুদ্ধবাবুর প্রয়াণের পর তাঁর দেখানো পথেই হাঁটলেন ‘প্রাক্তন’ নায়িকা।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পথে হেঁটে বিরাট ঘোষণা ঋতুপর্ণার (Rituparna Sengupta)!
শুক্রবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তিম শ্রদ্ধা জানাতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট ছুটে গিয়েছিলেন টলি সুন্দরী। কিন্তু ততক্ষণে এনআরএসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে শববাহী শকট। জয়জোয়ার ঠেলে প্রবীণ নেতার শববাহী গাড়ির কাছে পৌঁছন ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta)। গাড়ি কিছুক্ষণ থামে, প্রিয় নেতার প্রতি শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নায়িকা।
গতকাল বুদ্ধবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ঋতুপর্ণা। এরপরেই বিরাট ঘোষণা করেন তিনি। বাম মতাদর্শে বিশ্বাসী বুদ্ধবাবু (Buddhadeb Bhattacharjee) মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছেন। ‘অযোগ্য’ নায়িকা জানিয়ে দিলেন, তিনিও সেই পথেই হাঁটবেন।
আরও পড়ুনঃ ট্রাফিক নিয়মে বিরাট বদল! আইন ভঙ্গ করলে আর রেহাই নেই, বিপদে পড়ার আগেই জানুন!
ঋতুপর্ণার পিসি, পিসেমশাই-ও মরণোত্তর দেহদান করে গিয়েছিলেন। এবার তাঁদের সিদ্ধান্তে অনুপ্রাণিত হয়েই এই দেহদানের অঙ্গীকার করলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, মৃত্যুর পর দেহ দাহ না করে যদি দান করা হয় তাহলে সেটা কোনও মৃত্যুপথযাত্রী মানুষের জীবন ফেরাতে পারবে। সেই মানুষের মাধ্যমে তিনিও বেঁচে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার বুদ্ধবাবুর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন ঋতুপর্ণা (Rituparna Sengupta)। অভিনেত্রীর বিয়ের দিন উপস্থিত হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ছবির শেয়ার করে নায়িকা লেখেন, ‘আজ খুব মনে পড়ছে আমার বিয়ের দিনের কথা। তখন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। উনি এবং বুদ্ধদেববাবু এসেছিলেন। আমাকে আশীর্বাদ করে গিয়েছিলেন’। ঋতুপর্ণা অভিনীত ‘আলো’ এবং ‘পারমিতার একদিন’ প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর খুব পছন্দের ছিল বলে জানান অভিনেত্রী। তিনি যখন জাতীয় পুরস্কার জেতেন তখন ফোন গিয়েছিল বুদ্ধবাবুর। এমনকি ছেলের জন্মের পরেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে শুভেচ্ছাবার্তা গিয়েছিল নায়িকার কাছে।