একি কাণ্ড! পার্থর ওয়ার্ডে আর জি কর কাণ্ডের সন্দীপ, সঞ্জয়, জেলে যেতেই যা যা হল…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) ইস্যুতে তোলপাড় বাংলা। গত ৯ অগস্ট হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় ৩১ বছরের তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ করে খুনের (Doctor Rape and Murder Case) ঘটনা সাড়া ফেলেছে গোটা দেশে। সুপ্রিম কোর্টে চলছে মামলা। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে আগেই সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তার ঠিকানা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেল।

এক জায়গায় পার্থ, সঞ্জয় এবং সন্দীপ

ঘটনাচক্রে প্রেসিডেন্সি জেলেই বন্দি রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সেই সূত্রে আগেই জেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিবেশী হয় আর জি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। আর এবার পয়লা বাইশ ওয়ার্ডেই পাঠানো হল আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)৷ পার্থ, সঞ্জয় এবং সন্দীপ ভিন্ন ভিন্ন মামলায় তিনজনাই এখন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

   

মঙ্গলবারই জেলে পাঠানো হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। আর জি কর আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এ দিন সন্দীপ সহ বাকি তিন জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত৷ সিবিআই কাউকেই নিজেদের হেফাজতে রাখার জন্য আবেদন জানায়নি৷

বিকেলে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে আসা হয় সন্দীপকে। রাখা হয় ‘ফেমাস’ পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে৷ সেখানেই রয়েছেন হাই প্রোফাইল বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেল সূত্রে খবর, পয়লা ২২ ওয়ার্ডের ১১ নম্বর সেলে বন্দি রয়েছেন পার্থবাবু। সঞ্জয় রায়কে রাখা হয়েছে পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ১১ নম্বর সেলে৷ আর সন্দীপ ঘোষকে রাখা হয়েছে ওই একই ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সেলে৷

RG Kar

আরও পড়ুন: ওখানেই..! RG Kar কাণ্ডে এবার ৩ মূর্তির এন্ট্রি, কারা তারা? এই প্রথম সামনে এল ছবি

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে রাখা হয়েছে তাদেরকে। সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হয়েছে সঞ্জয়কে। সঞ্জয়ের মতোই ধৃত সন্দীপেরও পাহারায় রাখা হয়েছে বিশেষ দুই কারারক্ষীকে। প্ৰতি মুহূর্তের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে জেল তরফে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই পরপর দু বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে সন্দীপের৷ আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ একেবারেই সুস্থ আছেন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর