বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘ম্যান মেড বন্যা’, ফের একবার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে (DVC) তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পুজোর আগে মঙ্গলবার বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বলেন, ইচ্ছে করেই এসব করা হয়েছে। ডিভিসি অপরিকল্পিতভাবে বিরাট পরিমাণে জল ছাড়ায় বাংলায় এই বন্যা। এরপরই বন্যায় মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষনা করেন মমতা।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক সভা ছিল মমতার সেখান থেকে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে দুষে মমতা বলেছিলেন, কেন্দ্রের সরকার ভোটের জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ করে, তার ১ শতাংশও রাজ্যকে দিলে এই প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলাতে সুবিধা হত। তবে মমতা এও পরিষ্কার করে দেন যে কেন্দ্র পাশে না থাকলেও রাজ্য নিজের চেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যার জেরে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। বন্যায় যাদের বাড়িঘর ভেসে গিয়েছে তাদের বাড়িও তৈরি করে দেবে সরকার। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, অন্তত ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে। হঠাৎ বন্যায় চাষের বহু ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাদের ফসল বন্যায় নষ্ট হয়েছে তাদের শস্যবিমার আওতায় এনে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: খুব সাবধান! PNB’তে অ্যাকাউন্ট থাকলে সতর্ক হন আজই! এই কাজটি না করলেই ফেঁসে যাবেন আপনিই
ডিভিসির জলে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসি-র উপর আঙ্গুল তুলে মমতার অভিযোগ, ২০০৯ সালের পর থেকে কখনও এত পরিমাণ জল এর আগে ছাড়েনি। ডিভিসির অপরিকল্পিতভাবে জল ছাড়ায় বাংলার প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের জীবন বিপন্ন। যদিও এর আগে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছিল রাজ্যকে জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে। ওদিকে মমতার দাবি, কোনো সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়নি। DVC নিজের একতরফা সিদ্ধান্তে জল ছাড়ে।