’৩১ অক্টোবরের মধ্যে…’! আরজি কর মামলার শুনানিতে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট, কী নিয়ে?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার আরজি কর মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এদিন বিকেল ৪:১৫ থেকে শুরু হয়েছে সওয়াল জবাব। এদিন চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশ করেছে সিবিআই। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সিবিআই তদন্তে অনেক জরুরি তথ্য উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে যাক’।

  • ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)

এদিন আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি চলাকালীন জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি অভিযোগ করেন, হাসপাতালে একটি জাল ওষুধের চক্র চলছে। ২০০৩ সালে চন্দন সেন নামের একজন ডাক্তারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।

   

এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বলেন, তদন্তের আওতায় আসা হাসপাতালের ৭জনকে আপাতত সাসপেন্ড করা হোক। তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তিরা এখনও হাসপাতালে কাজ করছেন। তাঁরা প্রভাব খাটাতে পারেন। একই সুর শোনা যায় জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের আইনজীবী করুণা নন্দীর গলাতেও। এদিন ফের একবার ‘প্রভাবশালী তত্ত্ব’ উঠে আসে আদালতে।

আরও পড়ুনঃ ঘুরে যাবে তদন্তের মোড়? আরজি কর কাণ্ডে CBI-এর হাতে বিস্ফোরক তথ্য! ফাঁস হতেই তোলপাড়

এরপর কারা তদন্তের অধীন রয়েছেন, সেই নামের তালিকা সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন সিজেআই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud)। তখন রাজ্য জানায়, ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কোন পাঁচজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই নামের তালিকাও জানতে চায় আদালত। এদিন রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, সিবিআই নামের তালিকা দিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। যত প্রভাবশালীই হোক না কেন, পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে এদিন আশ্বাস দেওয়া হয়।

আজকের শুনানিতে সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে তা জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজ্যের আইনজীবী জানান, আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো, শৌচালয় নির্মাণ এবং সংস্কারের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। একথা শোনার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যাতে কাজ সম্পূর্ণ হয়, সেটা রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে।

RG Kar case hearing in Supreme Court 30th September

এদিনের শুনানিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রসঙ্গও উঠে আসে। রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, তাঁরা শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন। বহির্বিভাগ কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে পরিষেবা দিচ্ছেন না। একথা শুনে প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞেস করেন, কেন স্রেফ প্রয়োজনীয় পরিষেবার কথা বলা হচ্ছে? তাহলে কি সব চিকিৎসকরা সব ডিউটি করছেন না? এরপরেই জরুরি পরিষেবার পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যান্য সকল পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

শুনানি চলাকালীন আজ সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দেবাশিস সোমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা। একইসঙ্গে উঠে আসে সাগর দত্তে হামলার প্রসঙ্গও। রিপোর্ট দেখে আবার প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে নির্যাতিতার চোখে আঘাত লাগল? জবাবে সলিসিটর জেনারেল জানান, চশমা না খুলে রাখার জন্য এটি হয়েছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর