বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি আদায়ে আমরণ অনশন করছেন ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার। অনশন শুরু হয়েছে আড়াই দিন অতিক্রান্ত। এখনও সরকারের তরফ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। এবার তার প্রতিবাদে গণ ইস্তফার পথে হাঁটলেন আরজি করের (RG Kar Hospital) চিকিৎসকরা। আজ বৈঠকে গণ ইস্তফার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
গণ ইস্তফা দিলেন আরজি করের (RG Kar Hospital) ডাক্তাররা
জানা যাচ্ছে, এখনও অবধি ৩০ জনের বেশি চিকিৎসক এই গণ ইস্তফাপত্রে (Mass Resignation) সই করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ইস্তফা চাকরি থেকে নয়, বরং ডিউটি থেকে। সিনিয়র ডাক্তাররা বলেন, পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক থাকে সেই জন্য সর্বতভাবে চেষ্টা করেছেন। তবে এখন যে পরিস্থিতি সেটা রোগী পরিষেবার উপযুক্ত নয় বলে দাবি তাঁদের। তাই আর রোগী পরিষেবা দিতে পারছেন না। অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে শুরু করেছে। সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার সকালে সিনিয়র ডাক্তাররা বৈঠক করেন। সেখানেই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে খবর। এরপর বেলা গড়াতেই এক এক করে সিনিয়র চিকিৎসকরা ইস্তফাপত্রে সই করতে শুরু করেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের পর আরজি করের ডাক্তারদের গণ ইস্তফার এই সিদ্ধান্তে সরকারের (Government of West Bengal) চাপ বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুনঃ জয়নগরের নাবালিকা কি সত্যিই যৌন নির্যাতনের শিকার? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এর আগে সম্প্রতি জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও আমরণ অনশনের পথ বেছে নেন তাঁরা। বিগত প্রায় আড়াই দিন ধরে ধর্মতলায় অনশন চলছে। এখনও অবধি সরকারের তরফ থেকে আলোচনার জন্য কোনও সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই কারণে এবার গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন আরজি করের (RG Kar Hospital) ডাক্তাররা।
উল্লেখ্য, আরজি কর (RG Kar Hospital) কাণ্ডের প্রভাব রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপকভাবে পড়েছে। গত ৯ আগস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর টানা ৪২ দিনের কর্মবিরতিতে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর সেই জট সাময়িক কাটলেও সাগর দত্ত হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের হামলার ঘটনার পর পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে থাকার সময় সিনিয়র চিকিৎসকরা রোগী পরিষেবা দিচ্ছিলেন। তবে এবার আরজি করের সিনিয়র ডাক্তাররা গণ ইস্তফা দেওয়ায় এর প্রভাব ব্যাপকভাবে রোগী পরিষেবায় পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।