বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর আবহে আমরণ অনশনে বসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে দশ দফা দাবি সামনে রেখে অনশনে বসেন তাঁরা (Junior Doctors Protest)। দেখতে দেখতে ১৪ দিন অতিক্রান্ত। আমরণ অনশনের ১৫তম দিনে ধর্মতলায় জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী।
জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Portest) ধর্নামঞ্চে মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব!
এদিন দুপুর ২টো নাগাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নামঞ্চে হাজির হন মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব। তাঁদের সঙ্গে ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন। অনশনরত ডাক্তারদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন বলে খবর। রিপোর্ট অনুযায়ী, ধর্মতলার অনশনমঞ্চে বসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যসচিব। জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি। সেই সঙ্গেই কোথায় কতখানি কাজ হয়েছে সেই বিষয়ে প্রতিবাদকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের জানান।
এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors) আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসার অনুরোধ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তায় আছি। আপনাদের শুভ কামনা করছি। যতটা পারব, সাধ্যমতো সহযোগিতা করব। আন্দোলন করা আপনাদের অধিকার। পাঁচটা দাবির মধ্যে চারটে মেনে নেওয়া হয়েছে। একটি দপ্তর থেকে যদি সবাইকে একসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয় তাহলে দপ্তর চলতে পারে না। সরকারেরও কিছু ব্যাপার রয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ মহিলারা শুধু নন, পুরুষরাও মাসে মাসে পাবেন টাকা! দুর্দান্ত প্রকল্প রাজ্য সরকারের
আজ সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখার জন্য ৩-৪ মাস সময় চেয়ে নেন মমতা। একইসঙ্গে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচনের কথাও বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘পরেরবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে একসঙ্গে ভোট হোক আমি চাই। কালীপুজো, দীপাবলি, উপনির্বাচন রয়েছে। কথা দিচ্ছি, ৩ থেকে ৪ মাস সময় দিন। আপনাদের অসুবিধাগুলি নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখব। আপনাদেরও পরীক্ষা রয়েছে। লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। আন্দোলন থেকে সরে আসুন। আদালতে মামলা চলছে, সুবিচার পাওয়া যাবে’।
এদিকে গতকাল রাতে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা ঠিক করতে সিনিয়রদের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protest) বৈঠক করেন। এরপর বেশ কিছু কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। তারপর আজ দুপুরেই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জুনিয়র ডাক্তাররা কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।