বাংলা হান্ট ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে ততই যেন নতুন মোড় নিচ্ছে আর জি করের প্রতিবাদ আন্দোলন। নির্যাতিতায় বিচারের দাবিতে রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন এখন গণ আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। গোটা রাজ্যের তথা দেশের নজর এই প্রতিবাদ আন্দোলনের দিকেই। ঠিক এমন সময় জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনের তরফ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে নেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)
একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে তাঁরা আর নেই। প্রসঙ্গত প্রথম থেকেই আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের সমর্থন করে তাঁদের পক্ষ নিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । কিন্তু এবার তিনিই সরে এলেন আন্দোলনকারীদের পাশ থেকে। কিন্তু কেন? আসলে গতকাল অর্থাৎ রবিবার জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক ভালোভাবে নেননি বিজেপি নেতৃত্ব। সে কথাই স্পষ্ট হলো আরও একবার।
প্রসঙ্গত রবিবার সকালেই এই বিরোধী দলনেতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, ‘চিকিৎসকদের আলাদা ফ্রন্ট তৈরি করেছে তৃণমূল। কিছু বাম এবং অতি বাম এদের আন্দোলনকে বিপথে চালিত করছে। যেভাবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পালকে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে, তাতে সমগ্র মানুষের আন্দোলন থেকে বিচ্যুতি ঘটেছে। অনিকেত মাহাতোরা ভুগছেন। বাম এবং অতি বামদের জন্য এই আন্দোলনের অপমৃত্যু হয়েছে।’
আর এদিন নিজের মন্তব্যের ঝাঁঝ বাড়িয়ে একেবারে সোজাসাপ্টা কথায় শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম দিন থেকেই ছিলাম। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা যেদিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সন্ধি করেছেন, সেদিন থেকে ওঁদের সঙ্গে নেই। নো কম্প্রোমাইজ উইথ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
আরও পড়ুন : রাজ্যে হুড়মুড়িয়ে নিয়োগ! মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর বড় আপডেট, কাদের খুলছে কপাল?
এছাড়াও তিলোত্তমার মৃত্যুর জন্যও এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,’আরজি করে ডাক্তার বোনের মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ গতকাল রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনৈতিক পালা বদলের ডাক দিয়ে ২৬ -এর আসন্ন নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
এরপরেই ২৬ -এর আসন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে এই রাজ্যে আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ সোমবার ঝাড়খণ্ডে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে অন্ডালের কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর হয়ে সড়কপথে রওনা দিয়েছেন শুভেন্দু।