বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার বিভিন্ন মন্দিরের সাথে জড়িয়ে রয়েছে নানান ইতিহাস ও জনশ্রুতি। তেমনই গড়বেতার (Garhbeta) সর্বমঙ্গলা মন্দির নিয়ে প্রচলিত রয়েছে গায়ে কাঁটা দেওয়া লোককথা। স্থানীয়রা বলেন, একবার এক যোগী সাধকের পদধূলি পড়েছিল এখানে। তখন এই অঞ্চল ছিল জঙ্গল ঘেরা।
গড়বেতার (Garhbeta) সর্বমঙ্গলা মন্দির
লোকমুখে এই অঞ্চলের নাম ছিল বগড়ির জঙ্গল। এই জঙ্গলে ঘেরা জায়গাটিতেই সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন সেই সাধক। মগধরাজ বিক্রমাদিত্যের কাছেও নাকি পৌঁছেছিল এই মন্দিরের মাহাত্ম্য। তারপর তিনি এসেছিলেন গড়বেতায় (Garhbeta)।লোকশ্রুতি রয়েছে, মহারাজ বিক্রমাদিত্য শব সাধনা করে দেবীকে তুষ্ট করেন।
বিক্রমাদিত্যর উপর সন্তুষ্ট হয়ে দেবী তাঁকে প্রদান করেন অলৌকিক ক্ষমতা। দেবীর নির্দেশেই বিক্রমাদিত্যর অনুগামী হন তাল ও বেতাল। তাল ও বেতালকে মহারাজ নির্দেশ দেন অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শনের। মহারাজের নির্দেশ মতো তাল ও বেতাল মন্দিরের অভিমুখ উত্তর দিকে করে দিয়েছিলেন।
আরোও পড়ুন : স্বামীর সামনেই গৃহবধূকে গণধর্ষণ! গ্রেফতার ৮, আতঙ্ক কল্যাণীতে
তখন থেকেই এই মন্দির উত্তরমুখী অবস্থান করছে।এখনো এই মন্দিরের অন্যতম দ্রষ্টব্য পঞ্চমুণ্ডির আসন। প্রায় ৮০০ বছর আগে এখানেই নাকি হত নরবলি। এখনো মন্দিরে গেলে দেখা মেলে সেই হাঁড়িকাঠের। জানা যায়, বর্গীরা একাধিকবার এই মন্দিরে আক্রমণ করেছিল। কষ্টিপাথরের মূর্তি নষ্টও করে দেয় তারা।
পরে রাজা গজপতি সিংহ এখানে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। দুর্গারূপে এখানে পূজিত হন দেবী। নিত্যদিন এখানে পুজো দেওয়া হয় দেবীকে। বিশেষ তিথিতে দেওয়া হয় ভোগ। এছাড়াও মন্দিরের স্থাপত্যশৈলীও চোখে পড়ার মতো। পীর দেউল পর্যায়ে ৩টি ধাপে নির্মিত গড়বেতার (Garhbeta) এই মন্দির। পাশাপাশি এই মন্দিরের সাথে রয়েছে ১২টি শিব মন্দিরও।