রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিলেন টাকা, সেই টাকা দিয়ে লটারি কেটে কোটিপতি কাঠমিস্ত্রি, কাহিনী শুনলে হবেন অবাক!

বাংলাহান্ট ডেস্ক: পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যারা জীবনে বড়লোক হতে চান না। একটু ভালো জীবন কাটাবেন, একটু ভালো জামা পড়বেন, ভাল খাওয়া দাওয়া করবেন এটাই তো মানুষের (Carpenter) মৌলিক চাহিদা। আর তার জন্য সকলেই গোটা জীবন লাগিয়ে দেন। দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করে মোটা টাকা অর্জনের জন্য। কিন্তু অনেকেই বলেন বড়লোক হওয়া না হওয়া সমস্তটাই নির্ভর করে ভাগ্যের উপর। কেউ ৬০ বছরেও বড়লোক হতে পারে না। আবার কেউ ২০ বছরে কোটিপতি হয়ে যাচ্ছে। আর এবার এক কাঠমিস্ত্রির ( Carpenter ) ভাগ্য বদলে দিল ২০ ডলারের একটি নোট। রাতারাতি হয়ে গেলেন বড়লোক। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস না হলেও একথাই সত্যিই। কিভাবে দেখে নিন আজকের প্রতিবেদনে!

কাঠমিস্ত্রির ( Carpenter ) ভাগ্যবদলের কাহিনী:

চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবার স্বয়ং মঙ্গলদেব এসে দুহাত খুলে আশীর্বাদ দিয়ে যান, উত্তর ক্যারোলাইনার কাঠমিস্ত্রি ( Carpenter ) জেরি হিকসের উপর। সেদিন তিনি হয়তো নিজেও জানতেন না তার সাথে এমন মিরাকেল হবে। জানা গিয়েছে জেরি নিজের সংসার চালান কাঠের কাজ করে। ব্যানার এলোক এলাকায় কাঠমিস্ত্রির ( Carpenter ) কাজ করেন তিনি। সেদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার দোকানের পার্কিং লটে যেতে গিয়ে চোখে পড়ে একটি ২০ ডলারের নোট পড়ে। জেরিও সাত পাঁচ না ভেবে ওই নোটটি নিজের পকেটে ভরে নেন।

আরো পড়ুন : আচ্ছা! জানেন সিলিন্ডারের রং কেনো লাল হয়? কেনো সিলিন্ডারের তলায় ফুটো থাকে? ৯৯% মানুষই জানেন না উত্তর!

২০ ডলার দিয়েই হয়ে গেলেন কোটিপতি:

কুড়িয়ে পাওয়া টাকা দিয়ে কি করবেন না করবেন ভেবে কুল পায় না জেরি। তারপর মাথায় আসে এই টাকা দিয়ে লটারি কেটে নেওয়া যাক। যেমন ভাবা তেমন কাজ। কাজ শেষের পর তিনি একটি দোকানে গিয়ে স্ক্র্যাচ কার্ড কেনেন। যেটি মূলত কিছু অংশ দিয়ে ঢাকা থাকে, ওই অংশটি নখ বা কয়েন দিয়ে ঘষলে তার ভেতরে থাকে বেরিয়ে আসে কিছু অক্ষর বা নম্বর। মূলত এই কার্ডের মধ্যেই পুরস্কারের কথা উল্লেখ করা থাকে। ঠিক তেমনি একটি কার্ড কেনেন জেরি। এরপর কার্ড ঘষতে যা দেখেন তা দেখে রীতিমত হতবাক তিনি।

আরো পড়ুন : পকেট শূন্য, হাতে ছিল না এক টাকাও! অমিতাভের থেকে ধার চেয়েছিলেন রতন টাটা, জানালেন খোদ বিগ বি

কার্ড ঘষার পর দেখা যায় পুরস্কার হিসেবে সেখানে লেখা রয়েছে, ১ মিলিয়ন অর্থাৎ ১০ লাখ ডলার। যে কথা তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। হাজার কষ্ট করে যে টাকা তিনি রোজগার করতে পারেননি রাতারাতি সেই টাকা নিজের পকেটে পুরে নিলেন। এমন পুরস্কার পেয়ে তিনি রীতিমতো আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন। এখন জেরি আর কাঠমিস্ত্রি ( Carpenter ) নয়, তিনি এখন কোটিপতি। পূরণ করবেন সমস্ত ইচ্ছা, অনিচ্ছাগুলি।

এমন ঘটনার পর, নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জেরি জানান, “আমি আসলে যে টিকিটটি কিনতে চেয়েছিলাম, সেই টিকিট খুঁজে পাইনি। তাই আমি এই টিকিট কিনেছিলাম।” তবে এই টিকিটই যে তার ভাগ্য বদলে দিয়েছে সেকথা কিন্তু স্পষ্ট। জানা গিয়েছে, উত্তর ক্যারোলাইনা এডুকেশন লটারির প্রধান কার্যালয় থেকে শুক্রবার জেরি নিজের প্রাপ্ত পুরস্কার নিয়ে নিয়েছেন।

তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, জেরি দশ লাখ ডলার নয় এককালীন ৬ লাখ ডলার গ্রহণ করতে পেরেছেন। কারণ পুরো অর্থ পেতে গেলে তাকে ২০ বছর ধরে এই টাকা গ্রহণ করতে হবে। তাই এত বছর অপেক্ষা না করে এককালীন টাকা হিসেবে ৬ লাখ ডলার গ্রহণ করেছেন। আর যাবতীয় ট্যাক্স কেটে নিয়ে জেরি মোট অর্থ পেয়েছেন ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা।

Carpenter

এখন প্রশ্ন তাহলে তিনি কোটিপতি হলেন কি করে? আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতীয় মুদ্রায় কিন্তু এই টাকার সংখ্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। এখনই সেই টাকা তিনি খরচ করতে চান না, শুধুমাত্র কিছু টাকা, সন্তানের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে খরচ করবেন। আর টাকার অর্ধেকাংশ তার অবসরের পর কাজে লাগাবেন বলে জানা গেছে।

Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর