বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের শেষ দিক থেকে রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) নিয়ে শোরগোল রাজ্যে। এই দুর্নীতির অভিযোগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক সহ বহুজন। দুর্নীতি মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আর তাতে উঠে এসেছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। এই আবহেই রেশন (Ration) ব্যবস্থায় দুর্নীতি রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। শুরু কড়াকড়ি।
রেশন ব্যবস্থায় কড়া অ্যাকশন!
সম্প্রতি খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রেশনের স্টকে গরমিল থাকলেই এবার থেকে শাস্তির মুখে পড়বেন ডিলারড়া। জরিমানা করা হবে তাদের। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রেশন দোকান থেকে বরাদ্দের অতিরিক্ত যতটা চাল-গম উদ্ধার হবে তার তিনগুণ অর্থ জরিমানা হিসাবে দিতে হবে ডিলারদের।
রেশন দোকানে সরকার কর্তৃক বরাদ্দ চাল, গমের হিসেব না মিললেই ডিলারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। হিসেবে কারচুপি হলে জরিমানা তো হবেই, এমনকি ডিলারদের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ডিলারদের বিরুদ্ধে হামেশাই বেআইনিভাবে সাধারণ মানুষের জন্য বরাদ্দ রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠে আসে। এই প্রবণতা রোধে এবার কড়া হাতে পদক্ষেপ করল রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতর।
আরও পড়ুন: ভোটের মুখে সম্মুখ সমরে কংগ্রেস-BJP! ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নিছক রসিকতা তোপ খাড়গের
যাতে খোলা বাজারে রেশন (Ration) সামগ্রীর পাচার বন্ধ করা যায় তাই ডিলারের কাছে কতটা পরিমাণে চাল, গম, আটা মজুত রয়েছে তা নিয়মিত চেক করা হবে। অর্থাৎ মজুত রেশন সামগ্রীর হিসেব রাখা হবে। প্রসঙ্গত, রেশন দোকান থেকে কতটা পরিমাণে চাল, গম বণ্টন করা হচ্ছে সেই হিসেব ই পস মেশিনের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যায়। ডিলারের কাছে কত পরিমাণ রেশন সামগ্রী মজুত রয়েছে সেই পরিমাণও মেলে। এবার যদি কোনোভাবে সেই হিসাব না মেলে তাহলে সরকারের কোপে পড়বেন সংশ্লিষ্ট ডিলার। মোটা জরিমানা থেকে লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি কারচুপি হাতেনাতে ধরতে রেশন দোকানে স্টক গোপনে যাচাই করতে অভিযানও চালাতে পারেন খাদ্য দফতরের ইন্সপেক্টররা।