দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, তৃণমূল নেত্রী পিসির ভয় দেখিয়েও জেলে অভিযুক্ত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : একের পর এক ধর্ষণের (Rape) ঘটনায় কার্যত তোলপাড় রাজ্য-রজনীতি-দেশ। এবার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের (Rape)  অভিযোগ উঠল তারই এক প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানায় এলাকায়। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape)

পুলিশ সূত্রে খবর শুক্রবার সন্ধ্যায় টিউশন পড়তে যাচ্ছিল দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। তখনই রাস্তার মধ্যেই তাকে ভয় দেখিয়ে জোর করে বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এক জঙ্গলের মধ্যে। সেখানেই জোর করে ধর্ষণ (Rape)  করা হয় ওই কিশোরীকে। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার বিষয়ে কিশোরীকে মুখ বন্ধ রাখারও হুমকি দিয়েছিল ওই যুবক।

তাই ভয় পেয়ে গিয়েই বাড়ি এসে প্রথমে নির্যাতিতা কাউকে কিছু জানায়নি। পরে  রাগে অপমানে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। যদিও তখনই সে পরিবারের লোকেদের কাছে ধরা পড়ে যায়। তখন সবাই মিলে চেপে ধরতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রী। তারপর নিজের বাবা-মাকে সব কথা খুলে বলে দেয় সে। তারপর শনিবার রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি ওই যুবকটি বিগত দেড় বছর ধরে নানাভাবে তাদের মেয়েকে উত্যক্ত করত। এই নিয়ে এলাকায় সালিশি সভা হয়েছিল। সেসময় অভিযুক্ত যুবক নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিল। তারপর আবার এদিন সন্ধ্যায় যখন মেয়েটি যখন টিউশন পড়তে যাচ্ছিল তখনই তাকে রাস্তার মধ্যে ভয় দেখিয়ে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই যুবক।

আরও পড়ুন : নভেম্বরে বাড়তি রেশন? কোন কার্ডে কত সামগ্রী মিলবে? আগেভাগেই দেখুন

ওইদিন রাতে নির্যাতিতার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বিজেপি কর্মীরা। তারাই মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে তার পরিবারের সাথে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন। মেয়েটির পরিবারের দাবি ছেলেটির পরিবার তৃণমূল করে। তার পিসি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন নেত্রী। তাঁদের নাম নিয়েই নাকি ভয় দেখাতেই ওই যুবক।

Rape

যদিও কোনো হুমকিই এদিন আর কাজ দেয়নি। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর রাজ্যে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘ঘটনার খবর শুনে আমি থানায় এসেছে। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কোন রঙ না দেখে অভিযুক্তকে শাস্তি দিতে হবে।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর