বাংলাহান্ট ডেস্ক : ধর্ম অনুযায়ী প্রিয় মানুষের মৃত্যুর পর আত্মীয়রা আয়োজন করে থাকেন শেষকৃত্যের। প্রিয় মানুষটিকে বিদায় জানানোর শেষ অনুষ্ঠান বিভিন্ন আচার ও নিয়মের মাধ্যমে পালিত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে। তবে গুজরাটের (Gujrat) আমরেলি জেলার এক পরিবার তাদের প্রিয় গাড়ির শেষকৃত্যে নিমন্ত্রণ করলেন ১৫০০ অতিথিকে।
গুজরাটের (Gujrat) এক পরিবারের বেনজির কীর্তি
প্রায় ৪ লক্ষ টাকা খরচ করে সারলেন গাড়ির শ্রাদ্ধানুষ্ঠান। গুজরাটের (Gajrat) আমরেলি জেলার এক পরিবার তাদের ১২ বছরের পুরনো একটি ওয়াগন (Wagonr) আর গাড়ির জাঁকজমকপূর্ণ শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। সম্পূর্ণ নিয়মনিষ্ঠার সাথে অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আরোও পড়ুন : বিকেল হতেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি! দক্ষিণবঙ্গে শীত নিয়ে বড় আপডেট দিল আবহাওয়া দপ্তর
এমনকি এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে নিমন্ত্রণ করা হয় প্রায় ১৫০০ অতিথিকে। আনুমানিক চার লক্ষ টাকা খরচ করে করা হয় এই গাড়িটির অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া। গাড়িটিকে সমাধি দেওয়ার জন্য খনন করা হয়েছিল ১৫ ফুটের একটি গর্ত। সেখানে গাড়িটিকে (Car) সমাধিস্থ করে গোলাপ ও ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় পরিবারের তরফে।
এই গাড়িটির কর্ণধার সঞ্জয় পোলারা একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “প্রায় ১২ বছর আগে আমি কিনেছিলাম এই গাড়িটি। এই গাড়িটি কেনার সাথে সাথেই বদলে যায় আমাদের পরিবারের ভাগ্যের চাকা। আমাদের পরিবার এই গাড়িটিকে অত্যন্ত লাকিচার্ম মনে করে। তাই বিক্রি করার বদলে আমরা সিদ্ধান্ত নিই এটিকে সমাধিস্থ করার।”
আরোও পড়ুন : বাংলা অতীত! এবার যোগী রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি! চাকরি পাওয়া ১৮৬ জনই নেতা-মন্ত্রীর আত্মীয়
জানা গেছে, প্রায় ১৩ বছর আগে কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা শুরু করেন সঞ্জয় বাবু। ব্যবসার প্রথমদিকে অবশ্য খুব একটা লাভের মুখ দেখেননি তিনি। তারপর যাতায়াতের জন্য তিনি কেনেন এই ওয়াগন আর গাড়িটি। এই গাড়িটি কেনার পরই বদলে যায় সঞ্জয় বাবুর ভাগ্য। ব্যবসায় উন্নতি হতে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে।
Gujarat: In Amreli, farmer Sanjay Polra gave his 15-year-old car a symbolic “final resting place” in gratitude for the prosperity it brought his family. The family held a ceremony with the village, planting trees at the site to commemorate their fortune-changing vehicle pic.twitter.com/vtoEkVQLIP
— IANS (@ians_india) November 8, 2024
সঞ্জয়বাবু ও তার পরিবারের বিশ্বাস এই গাড়িটি ছিল তাদের বাড়ির লক্ষ্মী। তাই ১২ বছর পুরনো এই গাড়িটিকে সঞ্জয়বাবু বিক্রি করতে চাননি। নিজের পরিবারের সদস্যের মতো ১২ বছর ধরে আগলে রেখেছিলেন এই গাড়িটিকে। অবশেষে এই গাড়িটিকে সমাধিস্থ করে শ্রদ্ধা জানালেন তার ‘ভাগ্যলক্ষ্মীকে।’ সেই ভিডিও এখন বেশ ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।