বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবারে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। যেখান থেকে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, দিল্লি এবং মুম্বাই ভারতের (India) বৃহত্তম শহুরে কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হলেও বেঙ্গালুরু একাই ওই দুই শহরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। কারণ, পরিসংখ্যানের দিক থেকে বেঙ্গালুরু ওই দুই শহরের নিরিখে নিজের ব্যবধান দ্রুত কমিয়ে এনেছে। সম্প্রতি একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য এসেছে সামনে। বেশ কয়েকটি প্যারামিটারের ভিত্তিতে এই তথ্য উপস্থাপিত করা হয়েছে।
দেশের (India) মধ্যে এগিয়ে চলেছে বেঙ্গালুরু:
চাকরি ও বেতন: আমরা যদি বিগত ১০ বছরের পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই তাহলে দেখা যাবে যে, দিল্লি-এনসিআর মুম্বাইয়ের তুলনায় দ্বিগুণ কোম্পানি যুক্ত করেছে। কিন্তু দেশের (India) বড় মেট্রো শহরগুলির মধ্যে বেঙ্গালুরুতে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি ঘটেছে কোম্পানির। যেখানে বৃদ্ধির হার পৌঁছে গিয়েছে ৩৪২ শতাংশে। সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল ২০১২-১৩ সালে যেখানে কলকাতাতে ৬,৩৯৩ টি কোম্পানি তৈরি হয়েছিল সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫,৮৯৯-তে। অর্থাৎ এই হার ৭.৮ শতাংশ কমেছে। এই তথ্য জানা গিয়েছে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের তরফে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ব্লু-কলার ওয়ার্ক (চাষাবাদ, কলকারখানায় কাজ, নির্মাণ কর্মী ইত্যাদি) এবং হোয়াইট-কলার ওয়ার্ক (অফিসিয়াল কাজকর্ম, প্রশাসনিক ক্ষেত্র, ম্যানেজার সংক্রান্ত কাজ ইত্যাদি)-এর বেতনের ক্ষেত্রেও অন্যান্য শহরের তুলনায় বেঙ্গালুরু অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বেঙ্গালুরুতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের দেশের বেতন অন্যান্য শহরের তুলনায় ১৩ থেকে ৩৩ শতাংশ বেশি।
আরও পড়ুন: চলে এল বড় আপডেট! প্রথম টেস্টে কেমন হবে ভারতের প্লেয়িং ইলেভেন? জানালেন ক্যাপ্টেন বুমরাহ
আমরা যদি কলকাতার নিরিখে এই পরিসংখানের তুলনা করি সেক্ষেত্রে দেখা যাবে যে, বেঙ্গালুরুতে যেখানে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের বেসিক অ্যানুয়াল সেলারি ৮.৮ লক্ষ টাকা, সেখানে কলকাতায় এই পরিমাণ হল ৫.৯ লক্ষ টাকা। এর পাশাপাশি ব্লু-কলার ওয়ার্কারদের মাসিক বেতন বেঙ্গালুরুতে হল ১৬,৪৯৮ টাকা। অপরদিকে কলকাতাতে এই বেতনের পরিমাণ হল ১৪,০৩৯ টাকা।
আরও পড়ুন: আর নেই রক্ষে? ২,০০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে আদানির বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা
এর পাশাপাশি আমরা যদি দেশের (India) পাসপোর্ট হোল্ডারদের পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে দেখা যাবে যে, বেঙ্গালুরুতে মোট জনসংখ্যার তুলনায় সবথেকে বেশি মানুষের কাছে পাসপোর্ট রয়েছে। এই হার হল ২৫ শতাংশ। তবে এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে দিল্লি এনসিআর। সেখানে মোট ৫.৬ মিলিয়ন মানুষ পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। সমগ্র জনসংখ্যার দিক থেকে এই হার ১৮ শতাংশ। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গ্রেটার মুম্বাই। সেখানে পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫.৪ মিলিয়ন। সেখানকার সমগ্র জনসংখ্যার দিক থেকে এই হারটিও ১৭ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেঙ্গালুরু। যেখানে ৩.৬ মিলিয়ন মানুষ পাসপোর্ট ব্যবহার করেন। তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে কলকাতা। এই শহরে পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৮ মিলিয়ন। মোট জনসংখ্যার বিচারে কলকাতাতে পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর হার মাত্র ৫ শতাংশ।