বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় আছে,’যত দোষ নন্দ ঘোষ’! এবার ঠিক তেমনই আরজিকর কান্ডে নিজেদের সমস্ত দায় ঝেড়ে ফেলে সংবাদ মাধ্যমের ঘাড়েই দোষ চাপালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আরজিকর কান্ডের সাথে রাজ্য সরকারের কোনও সম্পর্ক ছিল না।’
RG Kar প্রসঙ্গে বিস্ফোরক ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)
রবিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বললেন, ‘আমরাও চাই দোষীদের ফাঁসি হোক। কিছু সংবাদপত্রের চাপিয়ে দেওয়া খবরকে যারা সমর্থন করেছেন দল কখনওই তাঁদের সঙ্গে থাকবে না।’
প্রসঙ্গত গত ৯ আগস্ট আরজিকরের ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই কথা নারকীয় ঘটনার কথা শুনেই গা শিউরে উঠেছিল সারা রাজ্য-দেশ তথা পৃথিবীর মানুষের। আজকের সমাজেও কর্মস্থানে গিয়ে একজন মেয়েকে যেভাবে অকালে প্রাণ বিসর্জন দিতে হলো তার বিচারের জন্যই প্রতিবাদ আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা।
তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে এখনও আন্দোলনরত রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। প্রথম কয়েক মাস জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে সাধারণ মানুষ থেকে সেসিলিব্রেটি কাঁধে কাঁধ ,ইলিয়ে এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন সকলেই। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই কলকাতার জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিল সমাজের সর্ব স্তরে।
আরও পড়ুন: অন্যকে জেতালেও নিজে কুপোকাত! বিহারের উপনির্বাচনে ৪ আসনেই জামানত জব্দ পিকের দলের
আরজিকর কান্ডের পর রাজ্যের শাসক দলের ভাবমূর্তির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। যদিও তার প্রভাব পড়েনি রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে। তাই বলা হচ্ছে, আরজিকর কান্ড নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যাচার করা হলেও মানুষ এখনও সমর্থন করছে তাদেরকেই। উপনির্বাচনের ফলাফলের পর সেই ছবিটা ভীষণ স্পষ্ট। তাই বিজেপির দখলে থাকা একমাত্র কেন্দ্র মাদারিহাট-ও এখন তৃণমূলের হাতে।
এপ্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে ফিরহাদ বলেছেন, ‘বিরোধীরা এসব করে কিছুই করতে পারবে না। বাংলার মানুষ জানেন ওদের আসল চরিত্র। বিজেপির বেস কিছু নেই। ওটা পাবলিসিটি ওরিয়েন্টেড দল। সিপিএমের ভোট পেয়ে ওরা লাফালাফি করে। বাংলায় ওদের সংগঠন বলে কিছু নেই।’