বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে একাই ছক্কা হাঁকিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের এই রেকর্ড জয় নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে দলকে। গতকাল উপনির্বাচনের ফলাফল আসতেই দেখা গেল রাজ্যের ৬ নির্বাচন কেন্দ্র থেকেই রেকর্ড সংখ্যক ভোট পেয়েছে তৃণমূল।
মমতাকে ইন্ডিয়া জোটের মুখ করার দাবি তুললেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)
তবে বাংলা ঘাসফুলের দাপট অব্যাহত থাকলেও দেশের নিরিখে ছবিটা একেবারে আলাদা। গতকাল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেল উল্টো ছবি। বিজেপির ধারে কাছেও নেই কেউ। বিরোধীদের দুরমুশ করে পদ্মশিবিরের ‘মহাজুটি’ জোট একাই একশো।গত এক দশকে এখনও অপ্রতিরোধ্য মোদি ম্যাজিক।
এরই মাঝে ঠিক কি করলে থামিয়ে দেওয়া যাবে মোদির গতিকে?এবার তারই উপায় বাতলে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধীদের সাফল্য না আসার অন্যতম কারণ সঠিক নেতৃত্বের অভাব। এই কারণেই বারবার চেষ্টা করেও বিজেপির ধারে কাছে যেতে পারছে না কেউ।
এ প্রসঙ্গের রবিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) কোনো রাখঢাক না রেখেই স্পষ্ট বলেছেন ইগো সরিয়ে ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসেবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হোক। শুধু তাই নয় দলনেত্রীর হয়ে সুর চড়িয়ে এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘বিরোধীরা লাগাতার হাত্রের মুখ দেখলেও কেন নিজেদের ইগো সরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না? একমাত্র তিনিই পারেন দেশ থেকে বিজেপির বিদায়ঘণ্টা বাজাতে। যারা ব্যর্থ হচ্ছেন দায় মানতেই হবে।’
আরও পড়ুন: সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…
শুধু তাই নয় কল্যাণের (Kalyan Banerjee) দাবি মহারাষ্ট্র হরিয়ানার মতো উপনির্বাচন কেন্দ্রের বিরোধীদের খারাপ ফলে জন্য একমাত্র দাবী নেতৃত্বের অভাব। কল্যাণের কথায়, ‘নেতৃত্বের অভাবেই এমনটা হচ্ছে। বিরোধী জোটের নেতৃত্ব তাঁরই দেওয়া উচিত যার প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর রয়েছে। মানতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কিছু হবে না।’
পাশাপাশি বাংলার ৬ আসনে উপনির্বাচনের ফলাফল উচ্ছ্বসিত কল্যাণ এদিন বলেছেন ‘পশ্চিমবঙ্গে মানুষের ভরসা, বিশ্বাস, আস্থার নাম মমতা। সে কারণেই এখানে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই। বিরোধীরা ছয়ে শূন্য পেয়েছে। আগামী দিনে দেখবেন পশ্চিম বাংলায় কোনও বিরোধী দলনেতাও থাকবে না।’