বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত দু’বছর ধরে সমস্যার সমাধান করতে পারেনি সাইবার থানা। এবার কিনারা করতে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের তত্ত্বাবধানে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। কোন মামলায়? ফোনে প্রতারণার জাল (Cyber Fraud), আর তাতে পা দিয়েছিলেন উত্তরপাড়া থানার কোন্নগরের ক্রিপার রোডের বাসিন্দা অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টম্বরের ঘটনা। একটি অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ আসে অমৃতাদেবীর ফোনে। বলা হয়, ‘আপনার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এখনই এই নম্বরে ফোন করুন ..।’
বিদ্যুৎ ছাড়া দৈনন্দিন জীবন অচল। হঠাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মেসেজ দেখে আতঙ্কিত হয়ে এসএমএসে দেওয়া নম্বরে ফোন করেন তিনি। বলা হয় ডেবিট কার্ড দিয়ে তাকে ২৫ টাকা পে করতে হবে। যথারীতি পেমেন্ট করেন ওই মহিলা। তারপরই সর্বনাশ কিছুক্ষণের মধ্যেই তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, একইভাবে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। এরপর লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে ওই বছরই চন্দননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন অমৃতাদেবী। তবে ২০২৪ সালে এসেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি।
আরও পড়ুন: টানা ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টি! বৃহস্পতিতে কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া? আবহাওয়ার খবর
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মামলা শুনানির জন্য ওঠে। এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, অভিযুক্তকে ধরা হয়েছিল। কিন্তু জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এরপরই ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নজরদারিতে ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। মামলার সুরাহা করতে সব ধরণের পদক্ষেপ যাতে করা হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।