বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা (Kolkata) শহরের নামজাদা কলেজ গুলির মধ্যে অন্যতম স্কটিশ চার্চ কলেজ। অধ্যাপকের আচরণে এবার কালিমালিপ্ত হল এই কলেজ। অভিযোগ, কলকাতার (Kolkata) স্কটিশ চার্চ কলেজের এক অধ্যাপক ছাত্রীকে হোয়াটসঅ্যাপে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
সাসপেন্ড কলকাতার (Kolkata) স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যাপক
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলেজের মেন গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন কলেজের পড়ুয়ারা। প্ল্যাকার্ড হাতে শোনা যায় ‘বিচার চাই’এর পাশাপাশি ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানও। এদিন কলেজের অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
অবশেষে চাপের মুখে পড়েই, ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয় স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যাপককে। অভিযোগ ওই অধ্যাপক কলেজের এক ছাত্রীর সাথে কিছুদিন ধরেই অনলাইন চ্যাট মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলছিলেন। শুধু তাই নয় দেওয়া হচ্ছিল কুপ্রস্তাবও।
আরও পড়ুন: বহুদিনের অপেক্ষার পর অবশেষে বাড়ল DA, কত শতাংশ? আনন্দে আত্মহারা রাজ্য সরকারি কর্মীরা
বুধবার সেই কথোপকথনের স্ক্রিন শট প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওই দিনই ছাত্রীটি সমস্ত চ্যাট সমেত কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হেনস্থা করার পাশাপাশি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ওই ছাত্রী। প্রশ্ন ওঠে কলেজ কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও।
অভিযোগ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। বুধবার ছাত্রীটির কাছ থেকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর বৃহস্পতিবার কলেজ কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলকারীরা। অধ্যাপকদের মধ্যে অনেকেই আজ পড়ুয়াদের সমর্থন করছেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার থেকেই সাসপেন্ড করা হল ওই অধ্যাপককে। কলেজের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, গভর্নিং বডি পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে।