বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) সরকার। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামায় ১৭ টি মন্দির সংস্কার ও নির্মাণের জন্য ১৭ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে সরকারের তরফে। মূলত, ওই মন্দিরগুলিতে নির্মাণ কাজের কথা বিবেচনা করেই সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই অর্থ দিয়ে হিংসাত্মক হামলার সময়ে মন্দিরগুলিতে যে ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করা হবে। এছাড়াও, মন্দিরগুলির রক্ষণাবেক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। একাধিক ঐতিহাসিক স্থাপত্যও এই মন্দিরগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যে মন্দিরগুলি সরকারের তরফে সংস্কার করা হবে তার মধ্যে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir).পহেলগাম এবং অনন্তনাগের প্রাচীন মমলেশ্বর মন্দির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর জন্য ১.০৭ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে এবং আকিংমের বিখ্যাত শিব ভগবতী মন্দিরের জন্য ১.৬০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
এই মন্দিরগুলির জন্যেও বরাদ্দ হয়েছে টাকা: এর মধ্যে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সালিয়ার পাপরান নাগ মন্দিরের জন্য ৯২.৯৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং খিরামের মাতা রাগন্য ভগবতী মন্দিরের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪৬.৪৯ লক্ষ টাকা। এর পাশাপাশি অশমুকামের লোগ্রিপোরায় খীরভবানী মন্দির নির্মাণের জন্য ৩.২৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যা হিংসাত্বক হামলার সময়ে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এছাড়াও, সালিয়ায় কার্কোটক নাগ মন্দির নির্মাণের জন্য ৬৯.৭৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ত্রাল তহসিলের বনমির গ্রামে গুফক্রাল নামে একটি পাথুরে অঞ্চল রয়েছে। এটির সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৪.০৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এদিকে, দ্রংবাল পাম্পোরের শ্রী শিদেশ্বর মন্দিরের জন্য ২৮.৩৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। যেটি অমরনাথ যাত্রার পথে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
এছাড়াও, বলের শিব মন্দির ৩৮.৮২ লক্ষ টাকা পাবে এবং মিডোরা, আওয়ান্তিপোরার একটি মন্দিরের জন্য ১২.৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ত্রিচলের মন্দিরের সংস্কারের জন্য ১৭.১৮ লক্ষ টাকা এবং পুলওয়ামার তাহাবের পবিত্র মন্দিরগুলির জন্য ১৯.৬০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সব আশায় জল ঢালল RBI! EMI-র ক্ষেত্রে মিলবেনা কোনও রেহাই, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ
বহু ঐতিহাসিক ঐতিহ্য পুনরুজ্জীবিত হবে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যেসব মন্দিরের সংস্কারের জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে তার মধ্যে একাধিক মন্দিরই অনেক পুরনো। এছাড়া কিছু মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর বিভাগের রিপোর্টের পর এই অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। যার ফলে প্রত্যক্ষভাবে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) একাধিক ঐতিহাসিক ঐতিহ্য ফের পুনরুজ্জীবিত হবে।