বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জলের মত কাটছে সময়। ইতিমধ্যেই আরজিকরের (RG Kar Case) তিলোত্তমার নির্মম ধর্ষণ হত্যা-কান্ডের চার মাস অতিবাহিত হয়েছে। আজও অধরা তিলোত্তমার বিচার। মেয়ে তো আর ফিরবে না, কিন্তু তাঁর ন্যায় বিচার চেয়ে আজও অপেক্ষায় রয়েছেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। মেয়েকে সঠিক বিচার পাইয়ে দেওয়াই এখন একমাত্র লক্ষ্য তাঁদের। এখন এটাই তাঁদের বেঁচে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য।
যতদিন না পর্যন্ত তিলোত্তমা ন্যায় বিচার পাচ্ছেন ততদিন এই লড়াই তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজিকর মামলার (RG Kar Case) শুনানি তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেই হতাশ হয়েছেন তিলোত্তমার বাবা-মা। গত ৯ আগস্ট কলকাতার আরজিকর কলেজের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল তিলোত্তমার ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ।
আরজিকর মামলায় (RG Kar Case) ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তিলোত্তমার বাবা-মা
ওই ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীকালে হাইকোর্টের নির্দেশেই এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকাতেও হতাশ হয়েছেন তাঁরা। তবে এখনই তাঁরা আস্থা হারাচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তিলোত্তমার মামলা ৩ মাস পিছিয়ে দিয়ে জানানো হয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ।
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা নামবে দক্ষিণবঙ্গে! আজ বৃষ্টি কোন কোন জেলায়? আবহাওয়ার খবর
এপ্রসঙ্গে তিলোত্তমার মা জানিয়েছেন, ‘কিছুটা হতাশ হয়েছি, কিন্তু আশা হারাইনি। আশা হারালে তো আমাদের মেয়ে বিচারই পাবে না। তাই লড়াই চলবে। আমরা এখন মিনিট সেকেন্ড করে দিন গুনি।’ সবশেষে তিলোত্তমার মা এদিন বলেন, ‘মেয়েকে কেন মারা হয়েছে? তা আজও জানতে পারলাম না। এটা না জেনে বেঁচে থাকার কোন মানে হয় না’। মেয়ের ন্যায় বিচার পাওয়াই এখন তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য বলেই জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি সিবিআই-এর ভূমিকায় এদিন ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবাও। তিনি বলেন, ‘আদালতে দাঁড়িয়ে এত সহজে মিথ্যা কথা বলা যায় সেটা দেখে অবাক হলাম। আদালতে সিবিআই বলেছে তাঁরা নাকি সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু আমরা তো কিছুই জানতে পারছি না। সিবিআই বলেছিল আমাদের না জানিয়ে চার্জশিট জমা দেবে না। কিন্তু কোথায় কি? সিবিআই কিছু না জানিয়েই শিয়ালদহ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে।’ একইসাথে এদিন নির্যাতিতার বাবা দাবি করেন বিগত কয়েকদিন ধরেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট কবে জমা দেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে তাঁরা মেসেজ করছেন। কিন্তু কিছুই জানানো হচ্ছে না।