বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেঙ্গালুরুর ইঞ্জিনিয়ারের আত্মহননের ঘটনায় শোরগোল গোটা দেশে। মৃত্যুর আগে স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন অতুল সুভাষ। ওই ইঞ্জিনিয়ারের অভিযোগ ছিল, তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁর স্ত্রী একাধিকবার অর্থের দাবি করেছেন। এই আবহে এবার অন্য একটি ডিভোর্স মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। খোরপোষের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ৮টি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
ডিভোর্স মামলার শুনানিতে কী পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)?
সর্বোচ্চ আদালতে প্রবীণ কুমার জৈন ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জুর ডিভোর্স মামলার (Divorce Case) শুনানি ছিল। তাঁরা বিয়ের পর ৬ বছর একসঙ্গে ছিলেন। এরপর প্রায় ২০ বছর ধরে আলাদা থাকছেন দু’জনে। দুই পক্ষই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। প্রবীণের দাবি, অঞ্জু তাঁর পরিবারের খেয়াল রাখত না, তাঁদের আলাদা চোখে দেখত।
অন্যদিকে অঞ্জুর অভিযোগ, প্রবীণ তাঁর প্রতি ভালো ব্যবহার করতো না। বিগত প্রায় দু’দশক ধরে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটাই তাঁরা ভুলে গিয়েছেন। এই মামলার শুনানিতে প্রবীণকে ৫ কোটি টাকা খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সঙ্গেই খোরপোষের মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে দেশের প্রত্যেকটি উচ্চ আদালতকে ৮টি বিষয় মাথায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ২.৫ লাখ টাকা! দুর্দান্ত প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! কারা পাবেন?
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ ও বিচারপতি প্রসন্ন ভি ভারালের ডিভিশন বেঞ্চের পরামর্শ, খোরপোষের (Alimony) বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি; দু’জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরির অবস্থা; স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে মূল কী জিনিস দরকার; সম্পত্তির পরিমাণ ও আয়ের উৎস; শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীয়ের জীবনযাত্রার মান কীরকম; আইনি লড়াইয়ের জন্য উপার্জন না করা স্ত্রীয়ের কত টাকা খরচ হচ্ছে; পরিবারের খেয়াল রাখার জন্য স্ত্রী চাকরি ছেড়েছিলেন কিনা এবং স্ত্রীয়ের ভরণপোষণ সহ অন্যান্য দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন হবে- এই ৮টি বিষয় উচ্চ আদালতগুলিকে মাথায় রাখতে হবে।
এদিকে প্রবীণ কুমার জৈন এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জুর ডিভোর্স মামলার কথা বলা হলে, তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদে সায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি প্রসন্ন ভি ভারালের বেঞ্চের মতে, প্রায় দু’দশক আলাদা থাকার কারণে তাঁদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ভিতটাই আর নেই। ফলে তাঁদের ডিভোর্সে সায় দেয় আদালত।