বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গত বছর থেকে জেলবন্দি। বহু প্রচেষ্টার পর সম্প্রতি ইডির মামলায় জামিন পেয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র (Sujay Krishna Bhadra) ওরফে কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku)। এদিকে নিম্ন আদালত মারফত আরেক তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই তাকে গ্রেফতার করতে পারে সেই আশঙ্কা থেকেই আগেভাগে কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের যাবেন জানান কালীঘাটের কাকু। তবে সেই আবেদনে আমল দেয়নি কলকাতা হাইকোর্ট।
সুজয়কৃষ্ণ তরফে নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও হাইকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। উল্টে কেন তাকে আগাম জামিন দেওয়া হবে সেই মর্মে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের বেঞ্চ।
এদিন হাইকোর্টে সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী জানান, তার মক্কেল অসুস্থ বলে নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে পারেন নি। এতদিন কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি সেই প্রশ্ন তোলেন সুজয়কৃষ্ণর আইনজীবী। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৩ মে ECIR-এর মাধ্যমে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করে ইডি। সম্প্রতি সেই মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
এদিকে নভেম্বর মাসের পর তাকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। নিম্ন আদালতেও তিনি হাজিরা দিতে না পাড়ায় কোনও প্রসিডিংস শুরু করা যায়নি। অর্থাৎ তার গ্রেফতারি অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই নিম্ন আদালতের প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জোর করে বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিলন করায় স্বামী, হাওড়ার বধূর মামলা হাইকোর্টে উঠতেই বড় নির্দেশ
এরপরই একাধিক প্রশ্ন তুলে দেয় আদালত। এতবার প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট ইস্যু হওয়ার পরেও কেন নিম্ন আদালতে হাজির হননি ভদ্রবাবু? প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট মানে পূর্বের সঙ্গে নতুন মামলায় তা যুক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে তাহলে কোন গ্রাউন্ডে তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেছেন? আগাম জামিনের ক্ষেত্রে যে নিয়ম মানা উচিৎ তা সুজয়কৃষ্ণ মেনেছেন কি না? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব তলব করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। এবার এই সব প্রশ্নের যথাযত উত্তর না দিতে পারলে কালীঘাটের কাকুর আগাম জামিন সম্ভব নয় বলেই মনে করছে আইনজীবী মহলের একাংশ।