বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে জেলবন্দি। চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ড এবং আর্থিক দুর্নীতি, দুই মামলাতেই (RG Kar Case) তাঁকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার সেই সন্দীপের বিরুদ্ধেই বড় অভিযোগ আনল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরজি করে (RG Kar Case) সন্দীপের নয়া ‘কীর্তি’ ফাঁস!
বৃহস্পতিবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই সন্দীপ এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আফসার আলিকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বলা হয়, আরজি করের বাইক পার্কিং থেকে তোলা টাকাও যেত সন্দীপ ও তাঁর ‘খাস’ লোকেদের পকেটে। সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বাইক পার্কিংয়ের বিষয়ে জানা গিয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই।
এদিন আরজি কর (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন জামিনের আবেদন করেছিল আফসার। তাঁর আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে বাইক পার্কিং থেকে টাকা তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেটাই যদি হয়, তাহলে ওই টাকা কোথায়? টাকা কি মিলেছে? ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাওয়া গিয়েছে? যায়নি’।
আরও পড়ুনঃ ‘১৫ দিনের মধ্যে তালিকা দিন’, বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, বিপদে পড়তে পারেন অনেকে
আফসারের আইনজীবী আরও দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির ধারায় মামলা হলেও নথিতে তেমন কিছু দেখা যাচ্ছে না। জেলে গিয়ে আফসারকে আর জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়নি। এমনকি যে দুই সংস্থাকে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে, সেটারও নথি পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেন তিনি। আফসারের নিয়োগ প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, স্বাস্থ্যভবন থেকে সহকারী নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে তাঁর মক্কেলকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি সন্দীপের (Sandip Ghosh) ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নন। কাজের খাতিরেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। আফসার কীভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভবান হয়েছিলেন, সিবিআইকে সেটা প্রমাণ করতে হবে বলে দাবি করেন তাঁর আইনজীবী।
এদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে পাল্টা দাবি করা হয়, আরজি কর (RG Kar Case) আর্থিক দুর্নীতিতে আফসারের ভূমিকা চার্জশিটে ব্যাখ্যা করা আছে। আফসারের বেনামি সংস্থা নথি জাল করে হাসপাতালের নানান কাজের বরাত পেয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। স্বাস্থ্যভবনকে অন্ধকারে রেখে আরজি করের বহু কাজের বরাত আফসারের সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পাশাপাশি আফসারের নিয়োগ প্রসঙ্গে বলা হয়, স্বাস্থ্যভবন জানিয়েছে, আফসার চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী, স্থায়ী কর্মচারী নন। তাঁকে সরকারি কর্মী বলা যায় না।