বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে (RG Kar Case) নয়া মোড়। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই। তবে এবার নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সিবিআই তদন্তে আস্থা নেই, সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার নতুন করে তদন্তের আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ তিলোত্তমার পরিবার
জানা যাচ্ছে, আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, সিবিআই (CBI) তদন্ত যে পথে এবং গতিতে এগোচ্ছে তাতে আর তাঁদের আস্থা নেই। সেই সঙ্গেই অভিযোগ, সব তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ধর্ষণ খুনের এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া, সাক্ষ্য গ্রহণের শুরু হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় আদালত হস্তক্ষেপ না করলে তাঁদের মেয়ের ধর্ষণ খুনের তদন্ত মাথপথেই থেমে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, গত সোমবার উচ্চ আদালতের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে গিয়ে তিলোত্তমার বাবা-মা মামলা করেন। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন জাস্টিস ঘোষ। আগামী সপ্তাহে উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ বিরাট পরিবর্তন! বছর শেষের আগেই বড় ঘোষণা মমতার, নয়া তালিকা প্রকাশ করল নবান্ন
আরজি কর ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে প্রথমে তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে এই মামলার তদন্তভার তুলে দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নির্যাতিতার মা-বাবার তরফ থেকে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল। এবার সেই তদন্তেই অনাস্থা জানিয়ে নতুন করে তদন্তের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।
এদিকে ইতিমধ্যেই এই মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট অবধি। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত। জানা যাচ্ছে, ফের যদি নতুন করে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা শুরু হয়, তাহলে প্রথম বিচার্য বিষয় হবে আদৌ এই মামলা শোনা যেতে পারে কিনা। সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার মা-বাবার তরফেও আইনজীবী রয়েছেন। সেক্ষেত্রে তিনি শীর্ষ আদালতে হাইকোর্টের মামলার কথা উল্লেখ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের কয়েকদিনের মাথাতেই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এদিকে ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে না পারায় সম্প্রতি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল জামিন পেয়ে যাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গেই হতাশা প্রকাশ করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এবার নতুন করে তদন্ত চেয়ে সোজা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা।