বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাহাড়প্রেমী বাঙালির কাছে দার্জিলিং এক টুকরো স্বর্গের চেয়ে কম কিছু নয়। তবে যারা বারবার দার্জিলিং-সিকিম যেতে যেতে ক্লান্ত তারা এবার ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পংয়ের এক অজানা পাহাড়ি গ্রাম থেকে। মেঘে ঢাকা পাহাড়ের মাঝে সবুজের হাতছানি, নিরিবিলিতে কয়েকটা দিন ছুটি কাটাতে চাইলে এই গ্রাম হতে পারে আপনার সেরা ডেস্টিনেশন।
গোকুলের (Gokule) নাম শুনেছেন?
বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়দের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারেন পাহাড়ের অপূর্ব মনোরম দৃশ্য দেখতে দেখতে। রাত নামলে পাহাড়ের গায়ে জোনাকির মতো জ্বলে ওঠে ছোট ছোট বাড়ির আলো। রাতের পাহাড়ের এক অনাবিল আনন্দ গ্রাস করবে আপনার মন। সন্ধ্যা নামলেই চারিদিকে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আপনাকে দেবে এক পাহাড়ি উন্মাদনার স্পর্শ।
কনকনে হিমেল সন্ধ্যায় আগুন পোহাতে পোহাতে বারবিকিউ খাওয়ার মজাটাই আলাদা। কালিম্পংয়ের গোকুল এমনই এক আদর্শ পাহাড়ি গ্রাম। আজকাল পাহাড় প্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে গোকুল (Gokule)। খুব একটা জনকোলাহল নেই এই গ্রামে। তাই যারা নির্জন পাহাড়ের সাক্ষী থাকতে চান তারা অবশ্যই পাড়ি জমাতে পারেন এখানে।
আরোও পড়ুন : খুলে গেল “ভালোমানুষির মুখোশ”, স্বাধীনতায় ভারতের অবদান ভুলে পাকিস্তানের “নির্লজ্জ” তাবেদারি ইউনূসের
কালিম্পং (Kalimpong) শহর থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে অবস্থিত গোকুলে (Gokule) ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে পর্যটকদের (Tourist) সংখ্যা। গ্রামের এক হোমস্টের কর্মকর্তার কথায়, “উত্তরের পর্যটনে নয়া পালক হিসেবে জুড়তে চলেছে এই গোকুলে গ্রাম। পর্যটকরা এখন একটু অফবিট জায়গার (Offbeat Location) খোঁজ করছেন। তাদের জন্য এই জায়গাটি খুব দুর্দান্ত একটি জায়গা।”
কীভাবে যাবেন গোকুল গ্রামে? নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে পৌঁছে যাবেন কালিম্পং। সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে মাত্র ৩০ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে হবে। পর্যটকদের জন্য একাধিক হোমস্টে রয়েছে এই গ্রামে। তবে পর্যটন মরশুমে আগে থেকে হোমস্টে বুকিং করে আসাই ভালো।