বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar Case) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে (Sanjay Ray)। যদিও এই ঘটনার সাথে তার কোন যোগ নেই বলেই শুরু থেকে দাবি সঞ্জয়ের। অবশেষে শিয়ালদা আদালতে দাঁড়িয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ পেয়েছে ওই অভিযুক্ত।
বিস্ফোরক দাবি, আর জি কর (RG Kar Case) ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়ের
সেখানে এদিন সঞ্জয় আরও একবার দাবী করেছে ওই তরুণী চিকিৎসককে সে নাকি চিনত না। এমনকি সেমিনার হল থেকে যে ব্লুটুথ হেডফোনটি উদ্ধার হয়েছে সেটিও নাকি তার নয়। শুক্রবার কলকাতার শিয়ালদা আদালতে (Sealdah Court) সকাল ১১’টা থেকে বিকেল ৫’টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচারকের সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সঞ্জয়।
এদিন সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। সূত্রের খবর অন্যান্য বারের মতো এদিনও নিজেকে ‘নির্দোষ’ বলেই দাবি করেছে সঞ্জয়। এর আগেও একই দাবি করার পাশাপাশি সঞ্জয় চিৎকার করে জানিয়েছিল তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, এই মামলার (RG Kar Case) পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি।ওই দিন সিবিআই এবং অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনবে আদালত। অন্যদিকে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে লিখিত আকারে নিজেদের অবস্থান জানাবেন।
গত ৯’ই আগস্ট কলকাতার আরজিকর (RG Kar Case) মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের রক্তাক্ত-ক্ষতবিক্ষত দেহ। অভিযোগ ওঠে, নাইট ডিউটির পর নিজের কর্মস্থলেই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছিল। এই ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। যারা আঁচ গিয়ে পড়েছিল আন্তর্জাতিক স্তরেও। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করে সঞ্জয় রায়কে। যদিও এই ঘটনা শেষ পর্যন্ত গড়ায় আদালতে। হাইকোর্টের নির্দেশে চারদিনের মধ্যেই এই মামলার (RG Kar Case) তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআই-এর হাতে।
আরও পড়ুন: বেহাল দশা! ফাঁকা ক্লাসরুম! শিক্ষক থাকলেও নেই পড়ুয়া, বন্ধের মুখে প্রাথমিক স্কুল
তারপরেই তদন্তে নেমে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডল সহ গ্রেফতার করা হয় আরজিকর মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ’কেও। যদিও ৯০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে না পারায় তাদের জামিন মঞ্জুর করে দিয়েছে আদালত। ইতিমধ্যেই জেল মুক্তি ঘটেছে অভিজিৎ মন্ডলের।
অন্যদিকে আরজি করের আর্থিক মামলাতেও নাম জড়ানোয় জামিনের পরেও এখনও পর্যন্ত জেলেই রয়েছে সন্দীপ ঘোষ। তবে এত কিছুর পরেও এই দু’জনের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় সিবিআই এর ভূমিকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাছাড়া আরজিকরের ঘটনার পর রাজ্যে আরও একাধিক নির্মম ধর্ষণ কান্ড ঘটে গিয়েছিল। সেই সমস্ত ঘটনায় ইতিমধ্যেই ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে আদালত। যদিও এখনও পর্যন্ত আরজিকরের এই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকান্ডের বিচার অধরাই থেকে গিয়েছে।