বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাত্রতে ভরা ক্লাসরুম, আর সেখানে এক এক জনকে ধরে ধরে বকুনি দিচ্ছেন টিচার! আসলে এখানে কথা হচ্ছে গতকালের ‘হাইভোল্টেজ’ বৈঠকের কথা। বৃহস্পতিতে নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে একাধিক সরকারি দফতর। তার মধ্যে কয়েকটির রাশ রয়েছে খোদ মমতার হাতেই।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর ‘রোষের’ মুখে পড়ে অর্থদফতরও। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র (Dearness Allowance/ DA) দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের। সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই আবহেই অর্থ দফতর নিয়ে বিস্ফোরক মমতা। এদিন অর্থসচিব প্রভাত মিশ্রকে ‘ভদ্রলোক’ বলে উল্লেখ করেও দফতরের কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ জানান মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অর্থ দফতরে দু’এক-জন ছাড়া বেশির ভাগই কাজের জায়গায় বসে বামপন্থী রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন। একেবারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বানিয়ে দিয়েছে! আমি নিজে সারপ্রাইজ ভিজিটে দেখেছি, ফাইলের পর ফাইল পড়ে আছে। এটা মিটিং-মিছিলের জায়গা নয়। এটা কাজের জায়গা।”
আরও পড়ুন: পর্দায় দুঁদে সাংবাদিক ‘পর্ণা’, আসলে চেয়েছিলেন “এই” পেশা! বাস্তবে পল্লবীর পড়াশোনার দৌড় কতদূর?
প্রঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ডিএ সহ একাধিক ইস্যুতে সরকারি কর্মীরা আন্দোলন করে চলেছেন। যার জেরে বারে বারে চাপে পড়তে হয়েছে সরকারকে। এই আবহে মমতার মন্তব্য অত্যন্তই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ডিএ আন্দোলনে অংশ নেওয়া সরকারি কর্মীদের ‘কু-কথা’ বলার পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের ‘শাস্তিমূলক বদলি’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ২৫ লক্ষ টাকার জিনিস মিলবে দেড় লাখে! নতুন বছরে বড় ঘোষণা মোদির
এদিন বিভিন্ন দফতরের অধীনে থাকা নানা সংস্থা, ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, সোসাইটিগুলির কাছে কত টাকা অব্যবহৃত এবং ফিক্সড ডিপোজ়িট হয়ে পড়ে আছে সেই বিষয়ে যাবতীয় তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তা করার নির্দেশ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের।