বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নতুন বছরেই একেবারে ‘অ্যাকশন মুডে’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবারই রাজ্য জুড়ে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন তিনি। একইভাবে সৎ ভালো অফিসারদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার কথাও বলতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, পুলিশের সিদ্ধান্ত নিয়েও এদিন তীব্র ভর্ৎসনা করলেন মমতা।
মা উড়ালপুল নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা (Mamata Banerjee)
রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এদিন বলেন, ‘সন্ধ্যার পর মা উড়ালপুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কেবল একটাই কাজ বন্ধ করে দেওয়া।’ এখানেই শেষ নয়, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বললেন, ‘রাস্তা দিয়ে কোন ভিআইপি গেলেই বাড়িঘর,দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যায়। সেসব চালু রেখে কি করা যায় না?’
বৃহস্পতিবার মা উড়ালপুলের বাইক চলাচল সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে শর্ত বেঁধে দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন মা ফ্লাইওভার, এজেসি বোস রোডে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিবেগ বেধে দিতে হবে। কেউ যাতে গাড়ি ঘোরাতে না পারেন তার জন্য দরকার হলে ফাঁকা জায়গা ব্লক করতে হবে।’
মুখ্যমন্ত্রীর এক ধমকেই একদিন যেতে না যেতেই উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে এবার থেকে আবার মা উড়ালপুরের ওপর দিয়ে ছুটবে বাইক। তবে মেনে চলতে হবে একটা শর্ত। জানা যাচ্ছে, বাইক চলাচল সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও বাইকের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিধি ভঙ্গ করলেই খসবে জরিমানা।
বিগত কয়েকদিন ধরে মা উড়ালপুলে যেভাবে বাইক দুর্ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল তাতে রীতিমতো চিন্তায় ঘুম উঠেছিল পুলিশ মহলের। কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা আশ্বাস দিয়েছিলেন ফ্লাইওভারের নিরাপত্তার ব্যাপার,টেকনিক্যাল খতিয়ে দেখা হবে। রাত হলেই শহরে বাড়ে বেপরোয়া বাইক আরোহীদের দাপট। বাইক রেসিং-এর মতো ঘটনায় প্রাণহানিও হয়।
আরও পড়ুন: সাক্ষ্যই নেওয়া হয়নি! CBI তদন্তে প্রশ্ন তুলে এবার সুপ্রিম কোর্টের পথে তিলোত্তমার বাবা-মা
দুর্ঘটনা রুখতেই প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাত দশটার পর থেকে পরের দিন সকাল ছ’টা পর্যন্ত মা উড়ালপুলের ওপর দিয়ে আর বাইক চালানো যাবে না। মনোজ ভার্মার এই নির্দেশের একদিন যেতে না যেতেই বৃহস্পতিবারই এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন হাসপাতাল হোক কিংবা অন্য কোন বিশেষ প্রয়োজনে মা উড়ালপুল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়া অফিস যাত্রীদেরও বাড়ি ফেরার তাড়া থাকে। তাই বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করাটা কোন কাজের কথা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরেই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে একাধিক হাসপাতাল রয়েছে। মেডিকেল ইমারজেন্সি সহ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে আবার ২৪ ঘন্টার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মা উড়ালপুল।