সব নির্মাণ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিন! বিরাট নির্দেশ ‘ক্ষুব্ধ’ হাইকোর্টের, বেঁধে দেওয়া হল টাইট ডেডলাইন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছু সময়ে শহর হোক বা জেলা বেআইনি নির্মাণের (Illegal Construction) রমরমা বেড়েছে। আগেও এই সংক্রান্ত একাধিক মামলায় কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার শহরের ৮টি অবৈধ নির্মাণ অবিলম্বে ভেঙে গুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই নির্দেশ দিয়েছে।

কোন মামলায় নির্দেশ?

খাস কলকাতার বুকে কিছু এনিমি প্রপার্টি (মূলত শত্রু সম্পত্তি যা ১৯৬৮ সালের আগের পাকিস্তানের নাগরিকদের সম্পত্তি) ও অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। সেই সব নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কেশবচন্দ্র স্ট্রিটের ৬টি, রাজা রাজনারায়ণ স্ট্রিটের ১টি, গিরিশ বিদ্যারত্ন লেনের ১টি সম্পত্তির কথা উল্লেখ করে হয় মামলা। অভিযোগ, পুরসভার কোনোরকম অনুমোদন ছাড়াই ওই সব নির্মাণ হয়েছে যদিও পুরসভা এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুরসভা এবং কলকাতা পুলিশ যৌথ একটি টাস্কফোর্স গঠন করে মোট কতগুলি বেআইনি নির্মাণ আছে সেই বিষয়ে সার্ভে করে। এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৭০ নম্বর কেশবচন্দ্র স্ট্রিটের এক বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র ১৭০ নম্বরের সম্পত্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে। যদিও বাকি সব গুলির ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত।

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন পুরনিগমের আইনজীবী জানান, বেআইনি নির্মাণ থেকে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশকে সাহায্য করতে হবে। তা ছাড়া এই প্রক্রিয়া সম্ভব নয়। এরপরই কড়া নির্দেশ দেয় আদালত। শহরের ওই বেআইনি নির্মাণগুলিতে অবিলম্বে পুরনিগম পানীয় জলের পরিষেবা ও সিইএসসি-র বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

calcutta high court

আরও পড়ুন: জোর বিপাকে পার্থ-মানিক? নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে CBI যা দাবি করল… তোলপাড় রাজ্য!

নির্দেশ, যত দ্রুত সম্ভব ওই বেআইনি বাড়ি/সম্পত্তিতে বাসবাসকারীদের উচ্ছেদ করতে হবে কলকাতা পুরনিগমকে। তাদের সহয়তা করবে পুলিশ। উচ্ছেদের পর ওই সম্পত্তি/বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব থাকবে কলকাতা পুরনিগম পুলিশ এবং সিইএসসির উপর। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতকে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর