বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি মাসেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ৪৮ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার (Kolkata Book Fair) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ২৮ জানুয়ারি থেকে এই মেলা চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে এবার কলকাতা বইমেলায় আয়োজক সংস্থার বিরুদ্ধে উঠল এক গুরুতর অভিযোগ। ইতিমধ্যেই যার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত।
গিল্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এপিডিআর
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতি অর্থাৎ এপিডিআর-এর (APDR) অভিযোগ এবছর কলকাতা বইমেলায় তাদের কোনো স্টল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এই কারণেই বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল এপিডিআর। বুধবার তাদের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha)।
প্রত্যেক বছরেই কলকাতা বইমেলায় স্টল করার আলাদা জায়গা দেওয়া হয় এপিডিআরকে। কিন্তু নতুন বছরেই দেখা গেল অন্য ছবি। তাদের জন্য এবছর কোনো স্টল বরাদ্দ নেই কলকাতা বইমেলায়। কিন্তু কেন তাদের কোন স্টল বসানোর অনুমতি দেওয়া হল না? এবার সেই প্রশ্ন তুলেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করার অনুমতি চেয়েছে এ পি ডি আর।
তাদের স্পষ্ট অভিযোগ বইমেলার স্থল বন্টনে কোন স্বচ্ছতা দেখাচ্ছে না গিল্ড। তাই যতদিন পর্যন্ত বইমেলায় তাদের স্টল করার অনুমতি দেওয়া হবে না ততদিন গিল্ডের স্টল বন্টন স্থগিত রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজ্লাসে মামলা করার অনুমতি চেয়েছেন এপিডিআরের আইনজীবী ঝুমা সেন। একই সাথে এই মামলার শুনানি যাতে দ্রুত হয় সেই আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিজের জন্ম তারিখ থেকে ‘শুভনন্দন’ বলার কারণ! একাধিক সিক্রেট ফাঁস করলেন মমতা
জাস্টিস সিনহা এদিন গিল্ডের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন এপিডিআরকে। আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। কলকাতা বইমেলায় এ বছর বাংলাদেশের বই থাকা একপ্রকার অনিশ্চিত। তাই বইমেলায় অংশগ্রহণকারি দেশগুলোর তালিকায় এ বছর নেই ওপার বাংলার নাম। এ বিষয়ে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বইমেলায় আসা অসম্ভব।
শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোন নির্দেশ দেওয়া হলে তবেই বাংলাদেশকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যেতে পারে। তা না হলে বাংলাদেশকে অংশগ্রহণ করতে বলার কোন প্রশ্নই উঠছে না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ জায়গা ফাঁকা পড়ে থাকবে না বলেই জানিয়েছে গিল্ড। এখানে বলে রাখা ভালো, বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম না থাকায় সমালোচনা করেছিল এপিডিআর। তাই তাদের অভিযোগ বাংলাদেশকে নিয়ে সমালোচনায় সহ্য হয়নি গিল্ডের। সম্ভবত তারই পাল্টা হিসাবে এপিডিআরকে বইমেলায় জায়গা দেয়নি গিল্ড।