বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বাংলায় ছাব্বিশের নির্বাচন। তার আগেই দক্ষিণ ভারতেও পা বাড়িয়ে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আঞ্চলিক তকমা ঘুচিয়ে জাতীয় তকমা পেতে একাধিক রাজ্যে শাখা খুলেছে ঘাসফুল শিবির। এখনও পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে গোয়া পর্যন্ত একাই বিজেপি বিরোধী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। আর এবার দক্ষিণের কেরলেও ফুটল জোড়া ফুল।
এবার দক্ষিণে পা বাড়াল তৃণমূল (Trinamool Congress)
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগ দেওয়ার মাত্র ৩ দিনের মাথায় কেরলের ‘পিনারাইবাদ’ বিদ্রোহী বাম সমর্থিত নির্দল বিধায়ক পিভি আনোয়ার বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত কংগ্রেস ঘরানার আনোয়ার কেরলের বাম সমর্থিত নির্দল হয়ে ওয়ানাড় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নীলাম্বুর বিধানসভার সদস্য ছিলেন। গত শুক্রবারেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই রাজ্য তৃণমূলের আহ্বায়ক হয়েছেন তিনি।
ইতিপূর্বে মালাপ্পুরুম জেলার নীলাম্বুর কেন্দ্র থেকে দু’দুবার সিপিএমের সমর্থনে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন আনোয়ার। এই কেন্দ্রটি আগে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাড়ের অন্তর্গত। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিধায়ক পথ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন আনোয়ার। আর তারপরেই তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তবে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চা বা ইউডিএফ প্রার্থীকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এক ক্লিকেই সমস্ত পরিষেবা! বাড়ি বসেই পাওয়া যাবে সার্টিফিকেট, নতুন অ্যাপ লঞ্চ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
আনোয়ার তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ থেকে বরখাস্ত হওয়া নিশ্চিত ছিল। তাই তার আগে তিনি নিজেই এই পদে ইস্তফা দিয়েছেন। তারপরেই তিনি জানিয়েছেন কেরলে পিনারাইবাদ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছেন তিনি। তাই এবার এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন থেকেই বিজয়ন সরকারের পতনের শুরু হবে। মালপ্পুরুম জেলা কংগ্রেসের কাছে ভিএস জয়কে প্রার্থী করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে আনোয়ার বলেছেন বন্য পশুদের সঙ্গে (মূলত হাতির আক্রমণ) মানুষের সংঘর্ষ এড়াতে তাঁকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। খুব শীঘ্রই কেরলে এই দলের দলের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
পদত্যাগী বিধায়ক আনোয়ার এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ডিএনএ নিয়ে করা মন্তব্যের জন্যও ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত গত লোকসভা ভোটের সময় রাহুল গান্ধীর ডিএনএ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আনোয়ার। সেই প্রসঙ্গেই এদিন সাফাই দিয়ে আনোয়ার বলেছেন তিনি নাকি রাহুলের রাজনৈতিক ডিএনএ নিয়ে বলতে চেয়েছিলেন,বংশ তুলে কোন কথা বলতে চাননি। আনোয়ারের কথায়, ‘আমার পরিবার চিরকাল নেহেরু পরিবারের অনুগামী। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে এরকম কথা বলতে চাইনি, তাঁদের কাউকে আঘাত করে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’