বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বে সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের জন্য রীতিমতো কুখ্যাত ভারতের (India) পড়শি দেশ চিন (China)। এবার তাদের চোখ রয়েছে আরব সাগরের দিকে। শুধু তাই নয়, আরব সাগরে সার্ভের জন্য চিন তার ২ টি মৎস্য বিজ্ঞান গবেষণা জাহাজ মোতায়েন করেছে বলেও জানা গিয়েছে। ওই জাহাজগুলি ভারত মহাসাগর থেকে আরব সাগর পর্যন্ত সমুদ্রে সার্ভের কাজ করছে। এর উদ্দেশ্য হল সামুদ্রিক সম্পদ অন্বেষণ করা। যাতে ভবিষ্যতে সেগুলিকে কাজে লাগানো যায়।
ভারতের (India) কাছাকছি মোতায়েন চিনের দু’টি গোয়েন্দা জাহাজ:
এদিকে, সব থেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, যেসব এলাকায় ওই চিনা জাহাজগুলি সার্ভের কার্যক্রম চালাচ্ছে সেগুলি ভারতের (India) উপকূলরেখা সংলগ্ন আন্তর্জাতিক জলসীমা। এমন পরিস্থিতিতে চিনের এই পদক্ষেপ ভারতের উত্তেজনা বাড়াতে পারে।
1/Feb 02, 2025: Fisheries science vessels, Lan Hai 101 & 201 are in the Arabian Sea conducting research for China’s aquaculture sector gaining information that will likely support Beijing’s distant-water fishing fleet that operates in the region.
[1/5] pic.twitter.com/5XrgkIpCkV— Damien Symon (@detresfa_) February 3, 2025
আরব সাগরে চিনা গুপ্তচর জাহাজ: এই প্রসঙ্গে ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স @detresfa_-র একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুসারে, “২০২৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, চিনা মৎস্য বিজ্ঞান গবেষণা জাহাজ Lan Hai 101 এবং Lan Hai 201 আরব সাগরে চিনের জলজ কৃষি সেক্টরের জন্য গবেষণা পরিচালনা করছে। এগুলি এমন তথ্য সরবরাহ করছে যা সম্ভাব্যভাবে বেইজিংয়ের দূরবর্তী মাছ ধরার বহরগুলিকে সুবিধা এনে দেবে। যেগুলি এই অঞ্চলে কাজ করে।” উল্লেখ্য যে, চিন প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুপ্রবেশকারী হয়ে মাছ ধরার জন্য বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। অনেক দেশ এই বিষয়ে চিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ৯৫ মিনিট ধরে ঝড় তুললেন মোদী! বিরোধীদের কটাক্ষ করে হুঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর
চিনের মাছ ধরার বহরের বিরুদ্ধে অভিযোগ: জানিয়ে রাখি যে, মাছ ধরার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ নৌবহর রয়েছে চিনের। এই বহরে হাজার হাজার নৌকা রয়েছে। যেগুলি প্রয়োজনের সময়ে চিনা নৌবাহিনীর জন্য কাজ করে। তাইওয়ানের সাথে উত্তেজনার সময় ওই নৌবহর চিনা নৌবাহিনীর সাথে কাজ করেছিল। ওই বহর অবৈধভাবে, সীমাবদ্ধ এলাকায় এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে মাছ শিকার করে। যার ফলে স্থানীয় মাছ ধরার সম্প্রদায়ের ওপর এর অর্থনৈতিক প্রভাবও পড়ে। একই সময়ে, এই বিষয়টি সামুদ্রিক নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র পরিবহণকেও প্রভাবিত করে।
আরও পড়ুন: বড় খবর! বিদেশি কোম্পানির কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে টাটা গ্রুপের এই ব্যবসা, জানলে হবেন অবাক
চিনা নৌবহর “গ্রে জোন কৌশল”-এর অংশ: আসলে, চিনের অফশোর ফিশিং বহর শুধু মাছ ধরার কাজই করে না। এই জাহাজগুলিকে দীর্ঘদিন ধরেই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। এগুলি চিনের “গ্রে জোন কৌশল”-কে সহায়তা করতে পারে। যেখানে তারা জেলে হওয়ার ভান করে শত্রুর কৌশলগত সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি গুপ্তচরবৃত্তি করে। এমতাবস্থায়, চিনের মাছ ধরার বহরের এই কর্মকাণ্ডের জেরে দক্ষিণ চিন সাগরের তীরবর্তী দেশ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের জেলেরাও সমস্যায় পড়েছেন। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের গোয়াদরে চিনা নৌবহরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে স্থানীয় জেলেরা।
বীরভূমে তৃণমূলের পার্টি অফিসে মদ্যপানের আসর! অনুব্রতকে নিশানা করে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কাজলের