বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাতে আর মাত্র তিন দিন! তারপরেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যাচ্ছে মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষা এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আবেগ-উৎকণ্ঠা। অ্যাডমিট কার্ডের জটিলতা থেকে শুরু করে ২০১৬ সালে চাকরি পাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরীক্ষা পরিচালনা বয়কট করার হুঁশিয়ারি সবমিলিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই মাধ্যমিক দিয়ে পরীক্ষা ঘিরে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্যে। এরইমধ্যে মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। আগামী ৯ ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত বঞ্চিত পড়ুয়াদের অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
মাধ্যমিকের (Madhyamik) শুরুর আগে সতর্ক করলেন পর্ষদ সভাপতি
বিগত কয়েকবছরে মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষায় একাধিক গোলযোগের অভিযোগ সামনে এসেছে। টোকাটুকি থেকে প্রশ্ন ফাঁস বাদ যায়নি কোন কিছুই। এই উদ্বেগের মধ্যে সবকিছু কড়া হাতে মোকাবিলা করতে চাইছে সরকার। পরীক্ষা শুরুর আগে এবার সেকথাই সাংবাদিক বৈঠক থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় (Ramanuj Ganguly)।
আগামী সপ্তাহেই সোমবার থেকে রাজ্যের মোট ২৬৮৩ পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসতে চলেছেন মোট ৯ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫৩ জন পরীক্ষার্থী। এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন এর মধ্যে ৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৮০৩ ছাত্র, ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৫০ জন ছাত্রী রয়েছেন। তবে প্রশ্ন ফাঁস ও টোকাটুকি রুখতে বেশ কিছু জেলায় বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। তাই মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষায় গ্যাজেট ইস্যুতে জিরো টলারেন্স নীতি নিচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: বন্দিদের মতো রাজ্য পুলিশও…! নবান্নে বিরাট প্রস্তাব পাঠাল ভবানী ভবন
পরীক্ষা হলে স্মার্ট গ্যাজেট নিয়ে বসলে সরাসরি পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে। নজরদারি চালাতে টয়লেটেও বিশেষ নজর রাখা হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও অভিভাবক প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রশ্নফাঁস ও টোকাটুকি রুখতে পর্ষদের টিম ঘুরবে বিভিন্ন স্কুলে। পর্ষদ সভাপতির স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে গ্যাজেট পাওয়া গেলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল হবে।’ একইসাথে এদিন তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন এর আগেও এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পুলিশ কীভাবে পদক্ষেপ নিয়েছিল, কীভাবে টুকলি চক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল আজ সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।
রাজ্যের সব পড়ুয়ারা মাধ্যমিকের (Madhyamik) অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০০ কাছাকাছি ছাত্রছাত্রী অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ায় উদ্বেগের সুর শোনা গেল পর্ষদ সভাপতির গলায়। তাঁর কথায় শেষ মুহূর্তে নতুন করে অ্যাডমিট কার্ড ইস্যু করে গোটা প্রক্রিয়াকে নতুন করে সাজানো খুবই চাপের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সোমবার পরীক্ষা শুরু হচ্ছে তার আগে মোট ১৮১ জন পড়ুয়ার এনরোলমেন্ট হচ্ছে। শোনা যাচ্ছিল ৫০ থেকে ৭০ জন পড়ুয়ার কথা। কিন্তু সংখ্যাটা আসলে ১৮১। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে থেকে এদিন দুপুর দু’টো পর্যন্ত বঞ্চিত পড়ুয়ারা আবেদন করেছন। তবে এই অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে বিভ্রান্তির বিষয়ে তাঁর স্পষ্ট দাবি, ‘পুরো ঘটনাটা ঘটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের দোষেই। তাঁর কথায় স্কুলের দোষেই পরীক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছিল। সামান্য কটা স্কুলের জন্যই পরীক্ষা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে।’ তিনি দাবি করেছেন মোট ১৩৬ টা স্কুল তাদের কাজ ঠিক করে না করায় এই অবস্থা হয়েছে।