বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রত্যেক বছর রাজ্যের (West Bengal Government) বাজেট নিয়ে বহু মানুষের আশা প্রত্যাশা জড়িয়ে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ২০২৩ সালের পর ২০২৪ সালে সামান্য হলেও বাড়ানো হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্যভাতা। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই আশাবাদী রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। প্রসঙ্গত ২০২৩ সালে চিরকুটে। আর ২০২৪ সালের বাজেটে ছাপা অক্ষরে ডিএ বৃদ্ধির কথা লেখা হয়েছিল।
কম ডিএ দিয়ে রাজ্যের (West Bengal Government) কত টাকা সাশ্রয় হয় জানেন?
প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের (West Bengal Government) সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়লেও তাতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে তাদের ডিএ-র কি ফারাক কমবে? জানা যাচ্ছে, হয়তো সাময়িকভাবে ফারাক কিছুটা কমবে,তবে তা হবে ক্ষণস্থায়ী। কারণ চলতি বছরেই জানুয়ারি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি কার্যকর হলে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক আবার বেড়ে যাবে।
বাজেট ঘোষণার আগে থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছে এবার রাজ্য (West Bengal Government) সরকারি কর্মীদের ৬ শতাংশ হারে ডিএ বাড়তে পারে। যদি ৬ শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয় তাহলে এবার রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে হবে ২০ শতাংশ। এরফলে সাময়িকভাবে হলেও রাজ্যের সাথে কেন্দ্রের ডিএ-র ফারাক দাঁড়াবে ৩৩ শতাংশ।
ডিএ নিয়ে এই জল্পনার মধ্যেই সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়ের সভাপতি শ্যামল কুমার মিত্র আনন্দবাজার পত্রিকাকে বলেছেন, ‘রাজ্য সরকার (West Bengal Government) বলছে, ডিএ না দিয়ে সেই অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে উন্নয়নে।’ এরপরেই বিস্ফোরক দাবি করে তিনি জানান, ‘২০১১ সালের জুন মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ডিএ-খাতে সরকার সাশ্রয় করেছে ২ লক্ষ ১৯ হাজার কোটি টাকা। তাই ডিএ-র টাকায় যদি উন্নয়ন হয়ে থাকে তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত তার কৃতিত্ব নিজে না নিয়ে কর্মচারীদের দেওয়া।’
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের নিয়ম করে বছরে দু’বার ডিএ বাড়ে। তবে বাংলায় কবে ডিএ বাড়বে, তার কোনও নির্দিষ্ট সময়কাল নেই। কখনও বড়দিনের অনুষ্ঠানে তা বাড়ে, কখনও বাজেটের চিরকুটে। যদিও গতবছর অর্থাৎ ২০২৪-এর বড়দিনে ডিএ সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমানে ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে হয়েছে ৫৩ শতাংশ। আগামী দিনে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের ডিএ-র ফারাক বাড়বে আরও। এদিকে ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁদের প্রাপ্য আরও ৩৯ শতাংশ ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।