বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউনূস সরকারের আমলে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যখন তলানিতে, তখন রীতিমত বোমা ফাটালেন বাংলাদেশে (Bangladesh) নিযুক্ত প্রাক্তন ভারতীয় হাই কমিশনার বীণা সিক্রি। সাম্প্রতিক অতীতে একদিকে যেমন বাংলাদেশে বেড়েছে ভারত বিদ্বেষী মনোভাব, তারই সাথে বেড়েছে নাশকতার আশঙ্কাও।
অতীতে বাংলাদেশের (Bangladesh) ভারতের বিরুদ্ধে ছক
সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রীতিমত তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে সেদেশের সাথে সম্পর্ক বেশ মজবুত হচ্ছে পাকিস্তানের। একাধিক বিষয়ে সাহায্য চাইতে একদা বাংলাদেশের ‘অত্যাচারী শাসক’ পাকিস্তানের শরণাপন্ন হচ্ছে ইউনূস সরকার।
আরোও পড়ুন : রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন! কী কারণে কামব্যাক? অবশেষে ‘আসল কারণ’ ফাঁস করলেন দেব
এই আবহেই ভারতে নানান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে একযোগে নেমে পড়েছে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনগুলি। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে। সেই সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বীণা সিক্রি স্মৃতিচারণ করলেন ২০০৯ সালের আগের বেশকিছু ঘটনার।
আরোও পড়ুন : চ্যালেঞ্জের মুখে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক! বিদেশের মাটিতে মুখোমুখি দুই দেশ, জমে গেল খেলা
বীণা সিক্রি সম্প্রতি বলেছেন, খালেদা জিয়ার (Khaleda Zia) আমলে সেদেশের মাধ্যমে একাধিক জঙ্গি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে ভারতের (India) উত্তরপূর্ব, পূর্বসহ একাধিক জায়গায়। ২০০৩ এবং ২০০৬ সালে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বীণা সিক্রি বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে অনেকটাই কমে জঙ্গি নাশকতামূলক ঘটনা।
তাঁর আমলে দুই দেশ যৌথভাবে অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্যে একযোগে কাজ শুরু করে। এরই সাথে বীণা সিক্রির আশঙ্কা,“আগামী ৬ মাসের মধ্যে রাজনেতিক ভাবে, আন্তর্জাতিক ভাবে, আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করতে হবে তা না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে”। পাশাপাশি ভারতে আগত বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যও তিনি অনুরোধ করেছেন সরকারকে।