বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়কের অফিসে হানা দিল জিএসটি (GST) টিম। মঙ্গলবার বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানো হয় বলে খবর। জানা যাচ্ছে, মূলত চলতি অর্থবর্ষে ট্যাক্সের বিষয় খতিয়ে দেখার জন্যই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন জিএসটি আধিকারিকরা। সূত্র মারফৎ এমনটাই জানা গিয়েছে।
কোন তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়কের অফিসে হানা দিল জিএসটি টিম?
গতকাল জঙ্গিপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জাকির হোসেনের (Jakir Hossain) কারখানায় হাজির হন জিএসটি আধিকারিকরা। জাকিরের সুতির অরঙ্গাবাদে বাড়ির কাছে বিড়ির প্রোডাকশন অফিসে তাঁরা হানা দেন। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর রাত ২টো নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা। জিএসটি টিমের আধিকারিকরা নিজেদের সঙ্গে বেশ কিছু নথিপত্র নিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।
ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক। জিএসটি টিমের তল্লাশি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অফিসাররা তাঁদের কাজ করেছেন। আমি সহায়তা করেছি। আট ঘণ্টা ধরে সেখানে ছিলাম। আমি আইন মেনে ব্যবসা করি। জিএসটি এবং আয়কর দিই। ৩০,০০০ শ্রমিক রয়েছেন। তাঁদের রুজিরুটির বিষয় রয়েছে। তাঁরা আতঙ্কে আছেন। কাজ চলে যেতে পারে বলে তাঁদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে’।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় খবর! এবার খোদ CBI-কে কোর্ট নোটিশ! হঠাৎ কী হল?
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জাকিরের অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। বারংবার এই তল্লাশি অভিযান কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত? এই বিষয়ে জঙ্গিপুরের বিধায়ক বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা জানি না। কেন্দ্রের ওপর আস্থা রয়েছে। তারা টিম পাঠাক। তবে যদি চিঠি পাই সবচেয়ে ভালো হয়। যত কম আসবে তত ভালো। কারণ শ্রমিকরা কাজ হারানোর চিন্তায় পড়ে যান’।
একইসঙ্গে তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক বলেন, ‘আমি হয়রান হচ্ছি, এটা ঠিক। অফিসাররা সহায়তা করেছেন। অফিসারদের বলব, তাঁরা যেন সঠিক রিপোর্ট দেন’। এদিন বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালালেও এরপর তাঁকে ডাকা হয়নি বলে জানিয়েছেন জাকির। তাঁর কথায়, ‘আমায় ডাকা হয়নি। ডাকলে অবশ্যই যাব। তবে আমি নিয়ম মেনে কাজ করি। ভয়ের কোনও কারণ নেই’।