জামিন পেলেও পিছু ছাড়ল না CBI, সিম কার্ড ফেরত পেলেন না টালা থানার প্রাক্তন ওসি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছরের আগস্ট মাসে আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর মাঝে কেটে গিয়েছে ৬’মাস। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের পরেই সামনে এসেছিল আরজি কর হাসপাতালের আড়ালে ঘটে চলা দুর্নীতির বিষয়টিও। সেই আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতার টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডল (Abhijit Mondal)। যদিও বর্তমানে তারা দুজনেই জামিনে মুক্ত।

RG Kar মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিল CBI

গ্রেফতারির পর প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলের সিম বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। জামিনে মুক্তির পরেও এখনও সিম ফেরত পাননি তিনি। তাই তার  সিম ফেরত দেওয়ার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল অভিজিৎ মন্ডলের পরিবার। এবার সিবিআই-এর তরফ থেকেও জানানো হল সিম ফেরত না দেওয়ার আসল কারণ।

আরজি কর (RG Kar) মামলার তদন্তের গতি প্রকৃতি জানিয়ে শিয়ালদা কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল সিবিআই। ওই রিপোর্টে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মন্ডলের যে সিমটি তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন সেটি এখনই ফেরত দিতে পারবেন না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ওই সিম কার্ডটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তাই সেটা এখনই ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। অভিজিৎ মন্ডলের পরিবারের আর্জি প্রসঙ্গে সিবিআই জানিয়েছে ওই সিম কার্ডে এমন অনেক তথ্য থাকতে পারে যা তদন্তে অনেক সাহায্য করবে। তাই এখনই তারা সিম কার্ডটি ফেরত দিতে পারবেন না। এছাড়াও জানানো হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি আদালতে এই মামলার অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।

আরজি কর (RG Kar) মামলায় তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে শুরু থেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন তিলোত্তমার বাবা মা। দিন কয়েক আগে এই অসন্তোষের কথা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিবিআইকে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল সোমবারের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এবার সেই রিপোর্ট দিয়েই অভিজিৎ মন্ডলের সিম কার্ডের ইস্যুটিও স্পষ্ট করে দিয়েছে সিবিআই।

আরও পড়ুন: মায়ের প্রেমিকের যৌন লালসার শিকার শিশুকন্যা! চুপ মা, চরম শাস্তি দিল শিয়ালদা আদালত

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তভার পাওয়ার পর ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধরে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সিবিআই অফিসাররা। তদন্ত শেষ করে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ৫৯ দিন পর শুনানি শেষে গত ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরপর ২০ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা হয় তার। সিবিআই এই ঘটনাকে, ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করে সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি করলেও বিচারক সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

Abhijit Mondal RG Kar case
তবে শুরু থেকে এই তদন্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন তিলোত্তমার পরিবার। ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে তাঁদের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে, ‘প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে’। সিবিআই-এর তদন্তেও অসন্তুষ্ট হয়েছেন তাঁরা। তাই আবার তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন তিলোত্তমার পরিবার। সেই আবেদনের ভিত্তিতে আবার শুরু হয়েছে তদন্ত। এবার আদালতে সেই তদন্তের গতিপ্রকৃতির রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর