‘যাদবপুর দখল করতে ১ মিনিট লাগবে’! চরম হুঁশিয়ারি অরূপ-সায়নীদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার তো বটেই, গোটা দেশের নামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অন্যতম হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। গতকাল সারাদিন সেখানে দেখা গিয়েছে নৈরাজ্যের ছবি। ইতিমধ্যেই সোমবার বামেদের তরফ থেকে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যাতেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাংসদ, বিধায়করা। শোনা যায়, ১ মিনিটে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দখলের হুঁশিয়ারিও!

যাদবপুর (Jadavpur University) দখলের হুঁশিয়ারি অরূপের!

গতকালের ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে মারা হয়েছে। ওরা আজ যাদবপুরে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। আমরা মনে করি, যে ছাত্ররা অধ্যাপকের গায়ে হাত দেয়, তাঁরা কখনও ছাত্র হতে পারে না। ওরা গুণ্ডা। এই গুণ্ডামির বিরুদ্ধে তৃণমূল রাস্তায় নেমেছে’।

অরূপ জানান, যাদবপুরের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে যাদবপুর-টালিগঞ্জের সকল পৌর প্রতিনিধিরা মানুষকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। এরপরেই ১ মিনিটে যাদবপুর (Jadavpur University) দখলের হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, ‘যদি মনে হয়, ১ মিনিট সময় লাগবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে’। অরূপের সংযোজন, ‘আমাদের সকলকে প্রতিবাদে নামতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবই’।

আরও পড়ুনঃ গ্রাহকদের জন্য সুখবর! মার্চে সস্তায় রেশন দেবে রাজ্য! কোন কার্ডে কত পাওয়া যাবে?

গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU) এক ছাত্রের আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই অরূপ বলেন, ‘সবটাই বানানো’। এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ সায়নী ঘোষও। তিনি বলেন, ‘২৯৪টা আসনের মধ্যে যারা একটা আসনেও জিততে পারে না, তাঁরাই বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে’।

সায়নী (Saayoni Ghosh) আরও বলেন, ‘শান্ত যাদবপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না। শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করবেন না। ছাব্বিশে ফের খেলা হবে’। যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদারের আবার হুঁশিয়ারি, ‘লক্ষণরেখা অতিক্রম করবেন না। নাহলে কিন্তু ভালো হবে না’।

Jadavpur University Bratya Basu

বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তাঁর দাবি, তৃণমূলের ঘোষিত কর্মসূচি পণ্ড করতে পরিকল্পনা মাফিক সবটা করা হয়েছে। কুণালের প্রশ্ন, ‘এরা কী চায়? ৩৪ বছর ধরে এই বামেরা লণ্ডভণ্ড করেছে। এটা শিক্ষামন্ত্রীর গাড়িতে প্রাণঘাতী হামলা। মাননীয় মন্ত্রীকে আমি ধন্যবাদ জানাব। কারণ উনি সংযত থেকেছেন। অভিভাবকের মতো আচরণ করেছেন’।

তৃণমূলের পাশাপাশি যাদবপুরের (Jadavpur University) ঘটনা নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছে বামেরাও। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আজ রাজ্যে এমন অবস্থা কেন হল? গত ১২ বছর ধরে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এসএফআই ঢুকতে পারে। উচ্চশিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী কী করছিল? গাঁজা খাচ্ছিল? কলেজে ভোট কেন হয় না? আর যেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে, বারবার সেখানে আক্রমণ নেমে আসে। কখনও তৃণমূল করে, কখনও বিজেপি। বাবুল সুপ্রিয় যখন বিজেপিতে ছিলেন, সেই সময় ক্যাম্পাসে গিয়ে এই রকম নাটক করেনি?’

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর