বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এবার রাজ্যে নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে ভুতুড়ে ভোটার ইস্যু। সদ্য তৃণমূলের কর্মীসভা থেকেও এই ভুতুড়ে ভোটার ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে এবার সামনে এল এক বিরাট চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ সকলের। জানা যাচ্ছে, কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভার ভোটার তালিকায় (Voter List) মিলল ৫ বাংলাদেশীর নাম। ওই ভোটার লিস্টে যে পাঁচ বাংলাদেশীর নাম রয়েছে বর্তমানে তারা বাংলাদেশের বাসিন্দা। অনেক আগে, ভারত ছেড়ে চলে গেলেও এখনও ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে তাদের।
ভারতের ভোটার লিস্টে (Voter List) ৫ বাংলাদেশি
স্থানীয় সূত্রে খবর, কোচবিহারের শীতলকুচির বড় কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নলগ্রাম যা আগে ছিল বাংলাদেশী ছিট মহল সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা মহাবুল হোসেন। তার আত্মীয় শফিকুল সহ বাকি চার ব্যক্তি অতীতে ওই বড় কৈমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নলগ্রামে বসবাস করতেন। কিন্তু পরবর্তীকালে ছিটমহল বিনিময়ের সময়ে তারা বাংলাদেশ চলে যান। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে তারা সেখানেই বসবাস করছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের নাম সরানো হয়নি ভারতের ভোটার লিস্ট (Voter List) থেকে। যা নিয়ে তৈরী হয়েছে ব্যাপক ধোঁয়াশা।
প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশী ছিট মহলের বাসিন্দারা ভারতের ভোটার লিস্টে (Voter List) নাম তুললেন কীভাবে? কারা এই বাংলাদেশীদের নাম ভোটার তালিকায় তুলেছিল? প্রশ্ন উঠছে এই বিষয়েও। অন্যদিকে ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে চর্চার আবহে এই বিষয়টি নজরে আসতেই শুরু হয়েছে ব্যাপক রাজনৈতিক তরজা। যদিও নলগ্রামের বাসিন্দা মহাবুল জানিয়েছেন নাম গুলো ডিলিট করার চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল কিন্তু কোনো কারণে তা এখনও পর্যন্ত করা হয়নি।
আরও পড়ুন: বাংলার বুকে আরও তিনটি সাবস্টেশন! উপহারের ঝুলি ভরছে কোন জেলার?
অন্যদিকে এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কোভির হোসেন জানিয়েছেন শফিকুলরা ওই এলাকার বাসিন্দা ছিলেন কিন্তু সিট বিনিময়ের সময় নাকি তারা বাংলাদেশ চলে গিয়েছেন বর্তমানে তারা সেখানেই থাকেন। তবে তাদের নাম এখনও কেন ভোটার লিস্টে রয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে কোনো সঠিক উত্তর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
ভোটার লিস্টে বাংলাদেশীদের নাম নিয়ে এই নানান জল্পনা কল্পনার মাঝেই এই বিষয়ে মুখ খুলে ছিলেন স্থানীয় শীতলকুচি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তপন কুমার গুহ। তিনি জানান, ‘এরকম বিষয় শুধু নলগ্রামে নয়, অনেক জায়গাতেই হয়। বিষয়টি স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতিদের দেখার জন্য বলা হয়েছে। যদিও, এই বিষয়টিতে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি। এপ্রসঙ্গে শীতলকুচি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক বরেনচন্দ্র বর্মণ বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস এভাবেই সরকারে এসেছেন। ভুয়া ভোট আর ছাপ্পা ধাপ্পা দিয়েই এই সরকার তৈরি হয়েছে।’